পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৫৬

《s শ্ৰীনিতানন্দ বংশবল্পী। “ . . . . . চত্বারিংশৎ সমা যাবৎ। । তিষ্ঠেৎ বীৰ্য্যাদপূরিতঃ n ততঃ ক্ৰমেণ ক্ষীণ স্যাৎ । . . . . . যাবৎ ভাবতি সপ্ততিঃ। ইহাই কাল ধৰ্ম্ম “বা -দশৃদশা, জুরাবস্থায় সমস্তই নাশ হয় । , পক্ষান্তরে সুখ দুঃখ, সূক্ষমশরীরে ভোগ হয়। সুতরাং সুখ দুঃখ রূপ : কাৰ্য্যের কারণ ও সূক্ষমশরীরে আছে ? ঐ কারণগুণকেই কৰ্ম্মফল লাভের হেতু বলিব । প্রকৃত্তিবশতঃ আত্মা স্থূল শরীরের সহিত সম্বন্ধ করে। ঐ প্রবৃত্তি, অভ্যাস যোগে উৎপন্ন হয়। যে ব্যক্তি যে কাৰ্য্যের নিত্য অনুষ্ঠান করে, অভ্যাস বশতঃ সেইরূপ প্ৰবৃত্তি । তাহার জন্মে। ঐ প্রবৃত্তি হইতে কৰ্ম্ম দ্বারা সংস্কার উৎপন্ন হয়। ঐ সংস্কার বাসনারূপে পরিণত হইয়াই আত্মার সহগামী হয়। ইহাই পুনর্জন্ম ও কৰ্ম্ম ফলের কারণ হইয়া থাকে। দেখ, জাগ্ৰাৎ প্ৰপঞ্চ এবং স্বপ্ন প্ৰপঞ্চ উভয়ই সমান। নিদ্রাবস্থায় স্বপ্ন হয়। স্বপ্নে কাৰ্য্যাকাৰ্য্যের বিচার করা যায়। স্বপ্নে মন্ত্রাদি প্রাপ্ত হওয়া যায়। ধ্যান ধারণা পূজাদিও করা যায়। দেবতা ব্ৰাহ্মণের নিগ্ৰহ অনুগ্রহ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। আহার, মলত্যাগ, । স্ত্রীসম্ভোগ, এবং নিদ্রাদি ও উপভোগ করা যায়। এবং জাগ্ৰত অবস্থায় তদনুরূপ ফললাভ ও হয়। সুতরাং স্বপ্নের যে ধৰ্ম্ম, সংসারের ও সেই ধৰ্ম্ম । বরলাভ, অভিশাপ, মন্ত্র এবং ঔষধাদি লাভ স্বপ্নের ফল, যখন জাগ্ৰতে প্ৰাপ্ত হই, তখন সমস্ত সংসারযাত্রার ও ঐ রূপ ভাব রহিয়াছে। সুতরাং জাগ্ৰাৎ স্বপ্ন ঐ রূপ ভাব সংসারের | দৃষ্টান্ত বুঝিতে হয়। তবে, স্বপ্ন যেমন ইচ্ছানুসারে দেখিবার | উপায় নাই। সেইরূপ জাগ্ৰতে ও ইচ্ছানুরূপ ফললাভ হয় না। স্বপ্ন, পূর্বনিবৰ্ত্তের উদ্বোধক ৷ জাগ্রাৎ পূর্বনিবৰ্ত্তের অনুমাপক। ] ইন্দ্ৰিয় নিচয় স্বপ্নাবস্থায় নিরপেক্ষ থাকিলেও, একমাত্র মন সমস্তের । কাৰ্য্য করে। মনে কাৰ্য্য ও কারণ উভয় সমাবেশ আছে। জাগ্রাৎ | চিন্তার অনুমান বা ছায়া স্বপ্ন নহে। যাহা এতদ্ভিন্ন তাঁহাই স্বপ্ন ! /