পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬ শ্ৰীনিতানন্দ বংশাবলী। " না।. এই নিয়ম সকল কাৰ্য্যেই প্রচলিত। এইরূপ কৰ্ম্মনিষ্ঠজ্ঞানেই। ঈশ্বরকে জানা যায়। নচেৎ অন্য উপায় নাই। : . উভাভ্যামপি পক্ষাভ্যাং যথা খোঁ পক্ষিণাং গতিঃ । তথৈব জ্ঞানকৰ্ম্মভ্যাং জায়তে পরািমং পদং ৷ ইতি বেদবিহিত কৰ্ম্মে দ্বারাই সফল হইতে পারে, ব্ৰাহ্মণের কৰ্ম্ম, স্নান, উপবাস, ব্ৰহ্মচৰ্য্য, গুরুকুলেবাস, বানপ্ৰস্থাশ্রম, যজ্ঞ, দান, প্রোক্ষণ, দিক্‌নিয়ম, কালনিয়ম, নক্ষত্রনিয়ম, দ্রব্যনিয়ম, মন্ত্রনিয়ম, পাত্ৰনিয়ম। এই সকল কাৰ্য্যে দ্বারা অদৃষ্ট'লাভ করা যায়। অপ্রত্যক্ষ হইলেই যে অদৃষ্ট হেতু হইবে তাই বলিতেছি না। মুখ্য (পূর্বোক্তধনাদিরূপ।) ফল যদি অদৃষ্টের দ্বারা লাভ করতে হইল, তবে দৃষ্ট, অদৃষ্ট, উভয় প্রয়োজনই, অদৃষ্টজনক কাৰ্য্যের অধীন হইল। যেমন পুত্ৰেষ্টি যাগে পুত্ৰলাভ হয়, ইহাও অদৃষ্ট প্রয়োজন বলিব । যেহেতু ইহা ধৰ্ম্মের দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে। শূদ্রাদির পক্ষে ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও সন্ন্যাস নাই। তবে কলিকালে সকলের পক্ষেই সমান হইয়া উঠিয়াছে। আর বড় একটা ইতারবিশেষ নাই। মোট কথা সকল জাতির পক্ষে এক্ষণে পরাশর উক্ত ধৰ্ম্মই প্রচলিত। দেখা যায়। নাম মাহাত্ম্য ও দান মাহাত্ম্যই কলিতে প্রবল। অপর সকল ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যে ব্যবহারিক প্রবৃত্তির অল্পতা দেখা যায়। শ্ৰীচৈতন্যোক্ত ধৰ্ম্ম অতি সহজবোধ্য, অল্প পরিশ্রমসাধ্য এবং নিশ্চিত। তথাহিতপঃ পরং কৃত যুগে, ত্ৰেতায়াং জ্ঞান মুচ্যতে । দ্বাপরে যজ্ঞ মিত্যাহুঃ, দানমেকং কলেী যুগে ৷ (ইতি সৰ্বশাস্ত্ৰবিষয়ঃ ) কলিকালে একমাত্ৰ ধৰ্ম্ম দান, এবং কায়িক ও মানসিক নাম। ইহা সৰ্বজাতীয়সম্প্রদােয় সম্মত । ইহাতে ভ্ৰম, প্রমাদ, ব্যাঘাত, ও সংশয়ের । কারণ দেখা যায় না। শাস্ত্র বলেন “কলোঁ নামানি সর্বদা৷” যাহা মানসিক নাম, অৰ্থাৎ মনে মনে সর্বদা উচ্চারণ করা যায়, তাহার পক্ষে