পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মফল। ৫৭ স্থান" বা শুচি অশুচির কোন বিচার করিতে হয় না। নচেৎ শুচি ও : সুস্থ হইয়া আসন গ্ৰহণ করিয়া অভ্যাস করা। কৰ্ত্তব্য। এইরূপ নামে গুরু- | উপদেশ বিশেষ প্রয়োজন হইবে। যখন শিষ্য এইরূপ নামে উত্তীৰ্ণ । হইবে, তখন গুরু ও অনাবশ্যক, তাহার পর অন্য বিষয়ে মন নিযুক্ত । থাকিলেও, নাম, মনে মনে আপন! হটুতে উচ্চারিত হইবে, আর বাধা । বিপত্তি মানিবে না । অশুচির অভাবকেই শুচি বলে। কাল ও সহকারিকারণ হইতে সকল কাৰ্য্যই অনুষ্ঠিত হয়। যে কারণে কাৰ্য্যের প্রবৃত্তি জন্মে, সেই কারণই সেই কাৰ্য্যের প্রযোজক ও প্ৰবৰ্ত্তক হয়। এবং সেইরূপ কাৰ্য্য । হইতেই সংস্কার উৎপন্ন হয়, সংস্কার আত্মার সহগামী । দেখ, কোন ব্যক্তি জন্মভূমি ত্যাগ করিয়া যদি পূর্ববঙ্গে বাস করে, তুবে তাহাকে আর পশ্চিমবঙ্গের লোক বলিয়া চিনিতে পারা যায় না । দান ও বেদ শাসন । বেদ বাক্যই প্ৰমাস্তান উৎপাদক। অভ্রোন্তবুদ্ধি দ্বারাই বেদ প্রতিষ্ঠিত। প্রমাভজ্ঞান বেদই প্ৰদান করে। ঈশ্বর ভিন্ন সমস্তই জড়। দান বুদ্ধিপূর্বক না হইলে নিস্ফল হইয়া, দুরদৃষ্ট । জন্মিবে। ধন অতিশয় মমতার বস্তু, ইহা সংসারিমাত্রেই জ্ঞাত আছেন, সেই ধন যে, অকাতরে প্রদত্ত হয়, ইহাও বেদ শাসনমূলক। দান প্রতিগ্রহেও পত্রপাত্র নির্ণয়ে, বেদশাসন আমাদের অন্তর্নিহিত ও সম্মানিত। বস্তু বিশেষ দান করিতে আছে, বস্তু বিশেষে নাই। বস্তু বিশেষে প্ৰতিগ্রহ আছে, আবার বস্তু বিশেষে নাই । এই বিরোচনা করিয়া ধনার্থী যে গ্ৰহণ করে, তাহাও বেদশাসন মূলক। সামান্য কএক জন । লোকে যে কথা বলে, বা যাহাকে সম্মান করে, তাহা রাজদ্বারেও গৃহীত হয়। মহর্ষি ও মহাপুরুষগণের আদি কাল জুইত সেবিত ও সম্মানিত বলিয়া, বেদ প্ৰমাণশাস্ত্ৰ। - যদি বল পরদুঃখের অনুভবাত্মক জ্ঞানই দানের কারণ ? পরের দুঃখ হইয়াছে তাহার জন্যই দান করে। এই কথা সম্ভব হয় না, তাহার। হেতু এই যে, এক আত্মাতে দুঃথ বা অভাব উৎপন্ন হইলে, পরকীয়। প্রবৃত্তির হেতু হয় না। যে দাতা-সেই আত্মীয় এমন কোন জ্ঞান