পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২। শ্ৰীনিতানন্দ বংশাবলী। " দেখে, তাহারই লীলা চাতুৰ্য্য। তাহারা দেখে, ঐশ্বৰ্য্যাদিতে । সুখশাস্তির লেশমাত্র নাই। তাহারা দেখে সকলই দুঃখময়, " মিথ্যাপ্রলোভন। তখন তাহারা বুঝে, সুখী, দুঃখী, রাজা, প্ৰজা, । এক সূত্রে গ্রথিত। ঈতরু বিশেষ কিছুই নাই। যে ব্যক্তি পীড়ার : অসীমযন্ত্রণায় দিবারাত্র অস্থির, অবকাশ মাত্র নাই। उांशीव्र যান, বাহন, সূক্ষ্যবস্ত্ৰ, সুস্বাদু খাদ্য, দুগ্ধফেনসন্নিভশয্যা, কি সুখ । বিধান করিবে ? যে স্ত্রীর উপপতি অহরহঃ প্ৰত্যক্ষ হইতেছে, - সেই স্ত্রীর প্রণয়ে কি সুখ হইবে ? প্রবৃত্তির অভাবে সকলই দুঃখময় বােধ হয়। ঐ রূপ সুখের হস্ত হইতে তখন পরিত্রাণের উপায় অন্বেষণ করে। আর প্রলোভনে মুগ্ধ হয় না। তাহারা তখন সুখের স্কটু অৰ্থ বুঝে। নচেৎ শাস্ত্ৰাদি পাঠ করিয়া বা আকাঙ্ক্ষাদির সহিত যুদ্ধ করিয়া কখনই মুক্তি ভাগী বা সুখী হইতে পারে না। কৰ্ম্মনিষ্ঠজ্ঞানই এক মাত্র অবলম্বন, অন্ত উপায় নাই। যখন ভোগের পর . . . নিবৃত্তির আশ্রয় লাভ করে, তখন তাহারা সুখ চিনিয়া লইতে পারে, , এবং সুখের অন্বেষণ করে। তখন জন্মান্তর দেখিতে পায়। ভবিষ্যৎ । সুখদুঃখের উপলব্ধির শক্তি জন্মে। তখন জন্মান্তরের চিন্তা আসিয়া । হৃদয় অধিকার করে। তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রাজা রামকৃষ্ণ মহারাজ অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হইয়াও, পরামরূপবতী স্ত্রীলাভ | করিয়াও সুখ খুজিয়া পান নাই। রঘুনাথ দাস, হিরণ্য গোবৰ্দ্ধনের - একমাত্র উত্তরাধিকারী হইয়া প্ৰভূত ধনের অধিকারী ; এবং সুন্দরী ও পতিপ্ৰাণা সহধৰ্ম্মিণীর পতিত্বলাভে সুখী হইয়া ও সুখ । খুজিয়া পান নাই। তাই ইহারা উভয়েই ইদানীন্তনকালে সুখের। জন্য সর্বত্যাগী। কোনকারণ বশতঃ ইহাদের রাজস বৈরাগ্য নহে। বীভৎস দৃশ্যেও ইয়ার বিরাগী নহেন। ইহারা শ্মশান, विश्• ।। ७ । । দৈন্যবশতঃ বিরাগী নহেন। কোন রোগগ্ৰস্তও হন নাই। তবে - সুখের অন্বেষণে প্রবৃত্ত ; কারণ ব্যতীতই এই মনােহর বৈরাগ্য উৎপন্ন । হইয়াছিল। ইহা সাধুদিগের ও বিস্ময় কর । এই অকৃত্ৰিম । বৈরাগ্য তাহাদের অতিশয় মহত্ত্বের পরিচয়। যে সুখদুঃখ চিনিতে ।