পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধা সহ ক্ৰীড়ারস্যবৃদ্ধির কারণ। – (ইতি কবিরাজ গােম্মামী ) { বস্তুতঃ লেখনীসঞ্চালন বা বাক্যবিন্যাস দ্বারা যেরূপ ঈশ্বরের | স্বরূপ বুঝাইবার চেষ্টা নিস্ফল হয়। তদ্রুপ রস বুঝাইবার চেষ্টাও । छेडा भाक। এই রস । বুঝাইতে ইচ্ছা করিয়া অনেকে অনেক কথা। বলিয়াছেন। রস বিকল্প বা নির্বিকল্পজ্ঞানবেদ্য নহে। ইহা জাতি । ব্যক্তি স্বরূপও নহে। ইহা বেদান্তশাস্ত্রের ব্ৰহ্মস্বরূপ নহে, বা তাহা হইতে একান্ত ভিন্ন ও নহে। অথচ কাল্পনিকও নহে। ] কাব্য প্ৰকাশক বলিয়াছেন—জাতি পক্ষ আশ্ৰয় করিলে ব্যক্তিকে, ও ব্যক্তিপক্ষ আশ্রয়ে জাতিকে, এবং সবিকল্পজ্ঞানাশ্রয় করিলে । নির্বিকল্পজ্ঞানকে, যে ভাবে বুঝা যায়, রস ও সেইরূপেই বোদ্য। . অতিরিক্ত ভাবে বুঝাইবার ক্ষমতা নাই। যেমন যোগী আত্মতত্ত্ব- গ জ্ঞানে সমৰ্থ, ভদ্রুপ রসিকগণ ও রসতত্ত্বজ্ঞানে সমর্থ হয়েন। অন্যকে " পৃথকরূপে বুঝাইতে না পরিলেও, যেমন সকলেই স্বস্ব আত্মাকে । বুঝিতে পারেন, সেইরূপে রসের অনুভব কারও স্বস্ব রসের আস্বা- ? দন করিতে ও বুঝিতে পারেন ভাব ও রস পৃথক হইলেণ্ড, ভাববিহীন রস বা রসবিহীন ভাব । হয় না। রস ও ভােব ক্ষণস্থায়ী ও নশ্বর। এক রস অপর রসের নাশক । বা প্ৰকাশক হয়। যেমন হাস্য, ক্রোধাদির ব্যভিচারী। কোন এক- | মাত্র নায়ক হইতে, নানাব্যক্তির নানারসের উদ্ভবও হয় । যেমন - শ্ৰীকৃষ্ণের ধনুৰ্যজ্ঞ প্রবেশ কালে, মল্পগণ শ্ৰীকৃষ্ণকে বজরূপজ্ঞানে । রৌদ্র রসের অনুভৰ করিয়া ছিল ( $ )। প্রজাপুঞ্জ, মানবগণের শ্ৰেষ্ঠ । রূপে দর্শন করিয়া অদ্ভুত রস উপভোগ করিয়াছিল । ২। রমণীগণ, । কন্দৰ্প স্বরূপে শৃঙ্গার রসে প্লত হইয়াছিল। ৩। গোপগণ, স্বজনজ্ঞানে । শান্তরস উপভোগ করিল। ৪। মহীপালগণ, শাসনকৰ্ত্তা রূপে, বীর । রসের অনুভব করিয়াছিল। ৫ । পিতা মাতা, পুত্ৰজ্ঞানে করুণরসে । আদ্র হইল।। ৬। ভোজপতি, সাক্ষাৎ মৃত্যুরূপে জ্ঞাত হইয়া, ভয়ানক ।