পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থূলতঃ – যৌবনের প্রবল বাতায় বিদ্ধস্ত না হইয়া পুণ্য বলে । যদি জীবিত থাকে, তবে তাহদের পক্ষে পরাৎপর সর্বরুপী নারায়ণে । মনােনিবেশ সুলভ হয়। কিন্তু মনুষ্য মাত্রের এই প্রবৃত্তি নাই, বা ? হয় না। এবং হুইবে না। যাহারা পূর্বোপার্জিত কৰ্ম্মফলে ক্ৰমশঃ । উৰ্দ্ধগামী, তাহদের এই প্রবৃত্তি জন্মে। নচেৎ অকস্মাৎ দয়ার : উদ্রেক বশতঃ পূর্বকৃত স্বল্প পুণ্য৷ ফলে, হঠ প্ৰাপ্ত অর্থের দ্বারা ‘মনুষ্যের উৰ্দ্ধগতি না হইয়া, ক্রমশঃ নরকাদি দ্বারা আবদ্ধ হইতে । থাকে। ইহা বুদ্ধি পূর্বক দেখিলে বুঝা যায়। দেখ-দয়া দাক্ষিণ্যাদি, সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ, গুণের দ্বারা কখন কখনু আপনা হইতে বিনা কারণেও উৎপন্ন হয়। ইহাকে স্বাভাবিক প্রারদ্ধ। বলে। দয়া মনুম্ভের পরম ধৰ্ম্ম। তপ, জ্ঞান, দান, এবং সত্যেই । ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত। সেই জন্য দান কাৰ্য্যে সর্বদা ভূতদ্রোহ বৰ্জন । করিবে। মনিষিগণ ভুতদ্রোহকে সহস্ৰ সহস্ৰ পাপের নিদান বলিয়া৮ ছেন। শ্ৰীচৈতন্যের সংক্ষেপ শিক্ষা “নামে রুচি, জীবে দয়া৷ ” স্মরণ বরুণ। সুতরাং সর্বপ্রযত্নে সর্বভূতে দয়াবান হওয়া ধাৰ্ম্মিকের লক্ষণ। এইরূপ জ্ঞান সত্বেও যদি মনুষ্য মূঢ়ের ন্যায় কাৰ্য্য করে, । তবে তাহার মনুষ্যত্বে ফল কি ? ' ' S SS ইংরাজ, গ্ৰীক, মুসলমান, ও ফরাসী দার্শনিকগণ দয়াকেই এক মাত্র ধৰ্ম্মের সোপান বলিয়াছেন। কোমতে, লিগলস্, ইহারা একান্ত । পক্ষপাতি। পক্ষান্তরে, ভারতবর্ষ কৰ্ম্মক্ষেত্র, এইক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ | না করিলে মুক্তিভাগী হয় না। মােক্ষ ও সুখের সাধনা হেতু যে সকল । দেখা-যে স্থানের যে শস্য, সেই ক্ষেত্রেই ভাহা জন্মে। " কুমকুমাদি সকল ক্ষেত্রে উৎপন্ন হয় না। ইহা সহজ বােধ্য। এই | লোকে মনুষ্যত্ব দুল্লভ। তদুপরি পুরুষ হইয়া জন্ম। তদুপরি ব্রাহ্মণ।