পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। ४० वैनिअॉमन वेरशंदनी । অতিক্রম করিতে পারেনা। ইহা আমি প্ৰত্যক্ষ করিয়াছি। সেইজন্য । ভীত হইনি। ক্লাপুরুষ সাজিব কেন ? টুলো অবরোধে, ইটালীয় মহাসমরে আমি তাহা বেশ বুঝিয়াছি। আমার পার্শ্বস্থ কত সৈন্তাধ্যক্ষ মরিয়াছে, কিন্তু গােলার মুখে মুখে ফিরিয়া ও নেপোলিয়ান জীবিত। এইরূপ বিশ্বাসযোগ্য প্রমান 'এৱং প্রত্যক্ষের অভাব না থাকিলেও, । স্থূল্যবাদীগণ সূক্ষম বিষয়ে বিশ্বাস করিতে পারেন না। ইহাকেই সংস্কার। বলে। স্কুল ও সূক্ষ্য বিষয়ের বিচার পূর্বক যে সকল আচার ও ব্যবহার প্রচলিত আছে, এই বিশদ ব্যাপার, স্কুলদর্শকে এককথায় বুঝান যায় না। যে বুঝিবে তাহার সে শক্তি না থাকিলে বুঝে না। মনুষ্যাদি কিছুই নহে, কেবল কৰ্ম্ম বিপাকের অবলম্বন স্বরূপ ছায়া মূৰ্ত্তি। ' যদি কোন জন্মান্ধকে ৪০ বৎসর বয়ঃক্রমে চক্ষুম্বান করা যায়, " সেই ব্যক্তি জগৎকে কিভাবে দেখে ? কি ভাবে বুঝে ? কিভাবে গ্ৰহণ করে ? সেই ভাবের অনুমান করিতে পারিলে, এই জগৎ সংসারের প্রকৃত ভাব কতক বুঝা যাইতে পারে। কি নিমিত্ত জগৎ স্মৃষ্টি করিয়াছেন, তাহা কতক উপলব্ধি হইবার সম্ভব। এইরূপে দেখিতে শিক্ষা করা উচিৎ। নচেৎ বহুকাল সঙ্গহেতু বিপৰ্য্যস্ত সাংসারিক জ্ঞানে বা পুস্তকাদি পাঠে, আমরা সৃষ্টি, স্থিতি, বা নাশের কারণ বুঝিতে পারিব না। দিবারাত্র ক্রিড়া বা মদ্যাদিপানে অনুরক্ত, ” চিন্তাহীন জীবন যেমন অতিবাহিত করাযায়। স্ত্রী, পুত্ৰাদি এবং ঐশ্বৰ্যময় জীবন ও ঠিক সেইরূপ। নূতন আহার, নূতন বিহার, নূতন আকাংক্ষা সর্বদাই চিত্তকে অবকাশ বিহীন করিয়া ফেলে। কৰ্ত্তব্যের বােধ একেবারেই থাকেন। যখন অন্তক আসিয়া সাক্ষাৎ করে, তখন অনুতাপ আসিয়া হৃদয়ে প্রবেশ করে, তাহাও । অধ্যয়নাদি দ্বারা তত্ত্বজ্ঞান হয় না। তবে সহকারী কারণ বটে। ৷ আকবর, শিবাজী, রণজিৎ, প্রভৃতি মহাত্মাগণ নিরক্ষর, কিন্তু সূক্ষদর্শী। নেপোলিয়েন, গণিত, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সমরবিদ্যা এবং মানচিত্র ।