পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਚੌਸ বিষয়ে সম্পূর্ণ পারদর্শী ও ঈশ্বরে অচলা ভক্তি ছিল। কিন্তু সূক্ষদর্শী । ছিলেন না। তিনি সর্বদা বলিতেন যে, সন্তানের চরিত্র, মাতার : চরিত্রের উপর নির্ভর করে। সেই জন্য স্ত্রীশিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন। । তিনি ঈশ্বরবিশ্বাসী ও বিদ্বান হইলেও, এক মাতৃগর্ভে* জন্মগ্রহণ | করলেও, আর সাতটি ভাই, সাতটি নেপােলিয়েন হইল না কেন ? ) তাহা উপলব্ধি করিতে পারেন নাই। আকবর চিন্তাশীল, সেইজন্য নিরক্ষর হইয়াও সূক্ষদর্শী। . . . . ফলতঃ স্কুল কৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা সূক্ষম বিষয়ের জ্ঞান হইলে, ঈশ্বরে। দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে। ক্ষণিক সুখ, সুখ নহে, উই দুঃখের বীজ। অন্ত । যাহাকে রাজরাজ্যেশ্বর দেখিলাম, আগত কল্য হয়ত অতি নিকৃষ্টের ও কৃপার ভিখারী। সেইজন্য ভগবস্তুক্তই ইহ ও পরজন্মে সৰ্বকালে সুখী। সূক্ষ্য বিষয়ের জ্ঞান না হইলে, পরা বিদ্যায় অধিকার হয় না। : অনুভবাত্মক জ্ঞানে, ঐরূপ বুদ্ধি জন্মে। আবার ঐরাপ অনুভব কৰ্ম্ময়ত্ত। পুস্তকাদি অধ্যয়নরূপ কাৰ্যনিষ্ঠজ্ঞানের সহিত কৰ্ম্ম । ংযোগে, কৰ্ম্মনিষ্ঠজ্ঞান উৎপন্ন হইলে, পরা বিদ্যায় অধিকার হয় । । অনুভবাত্মক স্মৃতি ও তত্ত্ব জ্ঞানে সাহায্য করে। যেমন, একজন | সূত্রধরের কিছুকাল তামাকু সাজিলে বা সেবা করিলে, কিছুদিন পরেই একজন কার্যকর হয়। পুস্তক পাঠের প্রয়োজন হয় না। সেইরূপ, সতত গুরু উপদেশ, গুরু গৃহে বাসঁ, তত্ত্বজ্ঞানের উপায়। সেইজন্য। শিষ্যত্ব গ্ৰহন করিতে হয়। নচেৎ কাৰ্য্যকারী শক্তি জন্মেনা। পিতা । মাতা তত্ত্বজ্ঞান বা অদৃষ্ট প্রদান করিতে পারে না। পিতা, কাম। প্রেরিত হইয়া বালকের জন্মদেন। মাতৃ কুক্ষি হইতে যে জন্মলাভ ৷ করা যায়, তাহাকে পশ্বাদির ন্যায়। সাধারণ জন্ম বলিতে হয়। যিনি বেদপ্ৰদ পিতা তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। দ্বিজগণের ব্ৰহ্মজন্ম ইহ, । পর, সর্বত্রই শাশ্বত। সামান্য জ্ঞানের সহিত গুরুর উপদেশ বিশেষ । আমাদের জীবন, দেশ কাল পাত্ৰাধীন বলিয়া সেই অনুসারে । صص .