পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিতানন্দ-বংশাবলী। বিদ্যানিধি প্রকরণ প্রথম কাণ্ড। ১ শ্ৰীশ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর বংশবল্লি লিখিতে আরম্ভ করিয়া তাহার বিবাহ ও শ্ৰীবীরচন্দ্র প্রভুর জন্ম এবং বিবাহ তথা শ্ৰীরামচন্দ্র প্রভুর জন্ম ও বিবাহ জাতি এবং কুল মৰ্যাদা প্রকাশ করা এক প্রকার অনধিকার চৰ্চা বলিয়া মনে হয়। কারণ বহু প্ৰামাণিক ও পুরাতন ইতিহাস এবং বৈষ্ণব গ্রন্থে ইহা বারবার বিবৃত হইয়াছে; এবং সেই সকল গ্ৰন্থ শিষ্ট সমাজে বহু পূর্ব হইতে আদৃত হইয়া রহিয়াছে। কিন্তু উপস্থিত ক্ষেত্রে পণ্ডিতভিমানী কতকগুলি অনভিজ্ঞ ব্যক্তিবিশেষের খৃষ্টত নিবন্ধন প্রয়োজনীয় হইয়া উঠিয়াছে। গ্ৰন্থ প্রণয়ন হেতু সত্যের অপলাপ সুবুদ্ধির কার্য্য নহে। ইহাতে আবার ঈর্ষার বশবৰ্ত্তী হইলে অন্তঃকরণ মলিন হইয়া নীচতা প্ৰাপ্ত হইবারই সম্ভাবনা ৷ প্ৰত্নতত্ত্বানুসন্ধানে অতীতের একমাত্র সাক্ষী গ্ৰন্থ নিচয়ের সাহায্য ব্যতিরেকে অন্য উপায় নাই। ইহা অভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই জ্ঞাত আছেন যে, কোন ঐতিহাসিক বিষয় লিখিতে হইলে কোন প্রাচীন ও প্রামাণিক গ্রন্থের অনুসরণ করাই যুক্তিসঙ্গত হইলেও পুনশ্চ ২৩ খানি ঐ রূপ গ্রন্থের সহিত পরামর্শ একান্ত কৰ্ত্তব্য, নচেৎ প্রক্ষিপ্তাংশের নির্বাচন দুরূহ প্ৰযুক্ত ঐ সকল প্ৰলাপ উক্তির ন্যায় নিস্ফল। তবে যে স্থলে কোন প্রকার গ্রন্থের সাহায্য নাই সেই বিষয়ের কিম্বদন্তি-মাত্র সম্বল হইতে পারে। কিন্তু ঐ রূপস্থলে নিরস্ত থাকাই বুদ্ধিমান ও বিবেচকের কার্য্য। আমি "এই নিবন্ধে কোন প্রকার কল্পিত বিষয় বা জনশ্রুতি লিপিবদ্ধ করি নাই।