পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৯

সমৰ্পণ করিয়া উত্তমঅঙ্গের ছিদ্ৰ দিয়া বা ব্ৰহ্মরন্ধ, উদঘাটিত করিয়া । চলিয়া যায়, শৰ্মাৎ প্ৰাণত্যাগকরে। কেবল বস্ত্ৰত্যাগের ন্যায় এই স্থূল । শরীর পরিত্যাগ, ও বস্ত্রান্তর গ্রহণের ন্যায় কায়ান্তর গ্ৰহণ মাত্র । উপলব্ধি হয়। সুগন্ধ বায়ু প্রবাহিত হয় ও সূৰ্য্যমণ্ডলের প্রকাশ হয়। তাহাদের রাত্রিকালে ৰা। সন্ধ্যার সময় মৃত্যু হয় না। যাহারা মধ্য ধৰ্ম্ম । তাহারা মৃত্যুমূৰ্ছার পর, ব্যোমবায়ু পরিচালিত হইয়া ওষধিপ্রধান । চৈত্ররথাদি বনে কিন্নরাদি শরীর প্রাপ্ত হয়।” তথায় সুফল ভোগান্তর প্রচু্যত হইয়া, খাদ্যের সংশ্লেষে ব্ৰাহ্মণাদি নরগণের হৃদয়ে প্রবেশ করতঃ রেতঃ সংক্রমে নারী গর্ভে প্রবেশান্তির জন্মগ্রহণ করে। মৃত মাত্রেই ক্ৰমে ৰা। অক্ৰমে মৃতিমূৰ্ছাৰসানে বাসনানুরূপ এই নিয়ম অনুভব । করে। মুৰ্দ্ধা ভঙ্গের পর “আমি মরিয়াছি।” এইরূপ জ্ঞান হয়। দাহকাৰ্য্যের পর পিণ্ডাদি প্রাপ্ত হইলে, “আমার শরীর হইয়াছে”। এইরূপ জ্ঞান হয়। তাহারপর যম যমদূত, স্বৰ্গ, যমালয়, “ঐ আমাকে যমপুরে লইয়া যাইতেছে।” এইরূপ উপলব্ধি হয়। উত্তম পুণ্যশালী প্ৰেতগণ সকৰ্ম্মলব্ধ বিমানাদি উপভোগ অনুভব করিতে থাকে । , পাপিষ্ঠেরা বোধ করে হিম, কণ্টক, গৰ্ত্ত, শস্ত্রসস্কুল অরণ্য অপবিত্ৰস্থান সকল, কিন্ঠ, মূত্র এই সমস্ত অনুভবে দ্বারা ভোগ করে। মরণে। প্ৰত্যেকেরই পারলৌকিক ফল ভোগ হয়। ফলতঃ জীব যদি অধিকাংশ পুণ্য ও স্বল্প পাপ করে, তবে পৃথিব্যাদি সূক্ষ্য ভূত দ্বারা শরীর লাভ করিয়া পারলৌকিক ভোগ করে। অধৰ্ম্ম বহুল ব্যক্তির সেরূপ না হইয়া, যাতনাময় দেহলাভ করিয়া যন্ত্রণা ভোগ করে । যামযাতনা শেষ হইলে পুনশ্চ ভাগমত ভৌতিক দেহ প্ৰাপ্ত হইলে পর, পাপ ও : পুণ্যফল ভোগ হয় । আতিবাহিক অবস্থায় অনুভবাত্মক ফলভোগ করে। দেহ ভিন্ন দৈহিক ফলভোগ হয় না। চেতনা পুনর্জন্মের বীজী ভূত বাসনা বিশিষ্ট থাকায়, পুনর্বার দেহ প্ৰাপ্তির জন্য চেষ্টা করে। সেই কারণই পুনর্জন্ম হয়। ইহাই জীবনামে কথিত হয়। উহা গগনেই থাকে, শূন্তই ইহার ব্ৰাসস্থান। ব্যবহারিকগণ ইহাকেই প্রেতি । বলে। ভৌতিকাংশের নৃত্যুনাধিক্য বশতঃ ব্যাধির উৎপত্তি হয়। কিন্তু ।