পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৯০

। ६ बैनिडॉनल-दरभंबंौ। উপস্থিতে এক সভার অধিবেশন করিলেন। ঐ সভায় আদি । বংশজ বা সপ্তশতী এবং অন্য অন্য ব্ৰাহ্মণদিগকে নিমন্ত্রণ করেন নাই। সেই কারণে গোপীজনবল্লভ ও রামকৃষ্ণ সে সভায় উপস্থিত হইতে পারেন নাই। ঐ সভায় দেবীদ্বরের গুরু উচ্চাসনে উপবিষ্ট হেতু সভাসদ সকলে বিরক্ত হইয়াছিলেন। দেবীবর তাহা বুঝিতে পারিয়া । খৃষ্টতা হেতু শোভাকরকে নিস্কুল করিলেন ; এবং ঐ সমস্ত বাদানুবাদে দেবী বরের গুরুদেবের সহিত মনোমালিন্য জন্মিয়াছিল। উক্ত সভায় শ্ৰীবীরচন্দ্ৰ প্ৰভুর নিমন্ত্রণ ছিল। ঐ নিমন্ত্রণ রক্ষার্থ রামচন্দ্ৰ প্রভুকে প্রেরণ করেন। রামচন্দ্ৰ সভায় উপস্থিত ছাইয়া আপন কুলমৰ্যাদা ব্যক্ত করিলে পর, দেবীবর বীরচন্দ্ৰ প্ৰভুর সন্দিগ্ধতা মার্জিত করিয়া পুনর্বার সিদ্ধ শ্রোত্রিয় বটব্যাল বলিয়া স্বীকার করিলেন। ইহাতেই পার্বতী নাথের কুল রক্ষণ হইল, এবং দেবীবরও বীরচন্দ্র প্রভুর নিকট কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত হইলেন। ཅ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ তথাহি-বীরভদ্র প্রভুর পুত্ৰ শ্ৰীল রামচন্দ্র। দেবীবরের সভায় বৈসে যেন সাক্ষাৎ ইন্দ্ৰ ৷ র্তাহে হেরি বীরভদ্রে বটব্যাল কয়। তে কারণে রামচন্দ্ৰ বটব্যাল হয় ৷ এই আখ্যায়িকার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট ও কারিকায় বর্ণিত হইয়াছে। এই সকল প্ৰমাণ সংযুক্ত গ্রন্থ পাঠ না করিয়া বিদ্যানিধি মহাশয় । স্ত্রীলোকের মুখ নিঃসৃত বাক্যের মধুরিমা গ্ৰহণ করিয়া বিস্তর অবক্তব্য গল্পের অবতারণা দ্বারা আমাদিগকে লাঞ্ছিত করিয়াছেন। ইহাই গ্ৰন্থ প্রকাশকের পুস্তক কাটুতির উপায়। সত্য কথা বলিতে হইলে । একজনকে গালাগালি না দিলে পাঠকবৃন্দ সে পুস্তক খরিদ করেন না। এবং গ্রন্থকারেরও লভ্য হয় না। অধুনা পুস্তক প্রণয়ন অতিশয় । সহজ কাৰ্য্যে পরিণত হইয়াছে। আমি শ্ৰীগঙ্গাদেবীর বংশ বিস্তার : লিখিবার সময় কয়েক খানি আধুনিক কুলগ্রন্থ প্রাপ্ত হইয়াছিলাম। তাহীর মধ্যে শ্ৰীলালমােহন বিষ্ঠানিধি প্রণীত সম্বন্ধ নির্ণয় নামক একখানি পুস্তক পাঠ করিয়াছিলাম। শ্ৰীনিত্যানন্দের বংশ মৰ্যাদা ।