পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S S SuSuS DD BBBD S SMSSSS শ্ৰীচৈতন্য ভবিষ্যৎ জ্ঞাত ছিলেন। ইহা প্রমাণ স্থলে গৃহীত না । হুইলেও গল্পচ্ছলেও কোন কোন স্থানে বিশ্বাস যোগ্য ও প্রমাণের সাহায্য করিয়া থাকে। সন্ন্যাসী দার পরিগ্ৰহ করিলে তাহাকে বিড়ালব্রতী ও অবকীণী বলে। ফলতঃ ধৰ্ম্ম শাস্ত্রানুসারে শিষ্ট সমাজ তাহারু সংশ্ৰব পৰ্যন্ত ত্যাগ ও করেন। সেই ব্যক্তি অপাংক্তেয় হইয়া। থাকে, তাহার প্রায়শ্চিত্ত শাস্ত্রকার বিধান করেন নাই। প্ৰায়শ্চিত্তাৰ্ছ ব্যক্তির নিস্কৃতির উপায় আছে। .. কিন্তু এই সমস্ত প্ৰায়শ্চিত্ত বিধিহীন পাপে লিপ্ত হইলে, হিন্দু সমাজে তাহার স্থানাভাব। এরূপ পাতক গ্ৰস্ত হইয়াও শ্ৰীবীরচন্দ্র কি প্রকারে কুল কাৰ্য্য করিতে সক্ষম হইলেন, ইহা একবারও গ্রন্থকার চিন্তা করেন নাই। অবশ্য বৈষ্ণবগণ “তেজীয়সাং ন দোষায়” বা নিত্যা- ? নন্দকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর বােধে মাৰ্জনা করিতেও পারেন এবং করিয়াছেন। ; কিন্তু আচাৰ্য বা ব্ৰাহ্মণ ও কৌলীন্য সমাজে কি প্রকারে মাৰ্জনা প্ৰাপ্ত হইলেন। সকলে সে সময় চৈতন্য বা নিত্যানন্দকে ঈশ্বর বা অবতার স্বরূপ জ্ঞান করিতেন না। সেইজন্য বৈষ্ণব গ্রন্থে বহু পাষণ্ডীর উল্লেখও আছে। “কথায় বলে বিজ্ঞ হয় জ্ঞানে” বিদ্যানিধি মহাশয় বিবেচনা না করিয়াই মিথ্যা দোষারোপ করিয়াছেন। মোট কথা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে, নিত্যানন্দ কখনও বিধি বােধিত সন্যাস গ্রহণ করেন নাই। ইহা গ্ৰন্থ নিচয়ে পুনঃ পুনঃ উল্লেখ রহিয়াছে। ইহা কেবল শ্ৰীচৈতন্যেরই ঘঠিয়াছিল। বরং শ্ৰীনিতানন্দ সন্যাস গ্রহণের বিরোধী ছিলেন। শ্ৰীনিতানন্দ চৈতন্যদেবের সহিত অবধূত সাজিয়া নাম সংকীৰ্ত্তন করিয়া বেড়াইতেন মাত্র। এই স্থলে বান্তাশীর কোন লক্ষণই বৰ্ত্তমান নাই। : শ্ৰীনিত্যানন্দ গর্ভােষ্টমে উপনীত হইয়া ব্ৰহ্মচৰ্য্য গ্ৰহনান্তর দ্বাদশ বর্ষ বয়ঃ ক্রম কালে তীর্থযাত্রা মানসে গৃহত্যাগ করেন। তীৰ্থ দৰ্শন সমাপনান্তে । বিরহে কাতর পুত্রে হস্তে সমৰ্পিল । সেই কালে নিতানন্দ সঙ্গে লঞা গেল৷ ” তীরে শিষ্য কৈল দণ্ড না। কৈল গ্ৰহণ। . অবধূত বেশে সঙ্গে করয়ে ভ্ৰমণ ৷ । ^ - (নিত্যানন্দ দাস)। )