পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায়—বামুদেবের বিদ্যারস্ত বাসুদেব গুরু-গৃহে পাঠ সমাপন করিয়া পারমার্থিক সদগুরুর অনুসন্ধানের জন্য ব্যাকুলমনা হইয়া একাকী গৃহ হইতে বহির্গত বাস্থদেবের সদগুরু হইয়াছেন। মাত্র ১০ বৎসর বয়স্ক বালক এই অনুসন্ধান অল্প বয়সেই বেদ-বেদান্ত-বিদ্যায় স্বতঃসিদ্ধভাবে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছেন—বেদ-বেদান্তের সার-গাথা বুঝিতে পারিয়াছেন,— যস্ত দেবে পর ভক্তিৰ্যথা দেবে তথা গুরে । তস্তৈতে কথিত হৰ্থাঃ প্রকাশন্তে মহাত্মনঃ ॥ ( cઃ ૭ાર૭ ) তদ্বিজ্ঞানার্থং স গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ । সমিৎপাণিঃ শ্রোত্ৰিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম্ ॥ -- ( মুণ্ডক ১২১২ ) তাই তিনি সদগুরুর অনুসন্ধানে ছুটিয়াছেন—অন্তর্যামী মুকুন্দকে সৰ্ব্বদা জানাইতেছেন,—“প্রভো ! তুমি মহাস্ত-সদগুরুরূপে আমার নিকট প্রকাশিত হও, জগতে ভগবদ্ভক্তির সাম্রাজ্য স্থাপন করিবার .শক্তি দাও, তোমাকু সেবা-প্রথা জগতে প্রকাশিত কর।” জগদগুরু বাসুদেব আজ লোক-শিক্ষার্থ এই পারমার্থিক সদগুরুর অনুসন্ধান করিতে করিতে রজতপীঠপুরের অনন্তেশ্বর-দেবালয়ে উপস্থিত হইলেন— উপস্থিত হইয়া অনন্তেশ্বরকে দণ্ডবৎ প্রণাম করিবার সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার সমুখে এক পরম দিব্যকান্তি সন্ন্যাসি-মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইয়া আকৃষ্ট হইলেন। পরস্পর পরস্পরকে দেখিবামাত্র যেন কতকালের পূর্ব পরিচয়ের অর্গল-রুদ্ধ-দ্বার উদঘাটিত হইয়া গেল। উভয়ের হৃদয়ে হৃদয়ে,—নয়নে নয়নে ভাবের বিনিময় হইল—পরস্পরের মধ্যে [ レs ] ..}