পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধ্ব এদিকে বায়ুতুল্য দ্রুতগতি বানরেন্দ্র হনুমানের ন্যায় ও দৈত্যগণের ভয়জনক ভীমসেনের ন্যায় শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য বহু পথ অতিক্রম করিয়া হিমালয় পৰ্ব্বত দেখিতে পাইলেন । আহা ! হিমালয়ের কি শোভা । এখানে প্রস্ফটিত পদ্ম-শোভিত সরোবর, কত প্রকার বনবিতরে শোভ কুসুম, বিবিধ বৃক্ষরাজি, বৃক্ষের পাদমূলে ধান-পরায়ণ শ্ৰীহরির ঐশ্বৰ্য্য- মুনিগণ, মঞ্জুশ্রী-বিভূষিত হিমালয়খৃঙ্গ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের পক হৃদয়ে শ্রীহরির পরমৈশ্বৰ্য্যের উদ্দীপনা করিয়া দিল । হিমালয় পৰ্ব্বতের অন্য প্রান্তে যে-স্থানে বদরী-বৃক্ষ সমূহ শোভা পাইতেছে, সেই সৌন্দর্য্যের আবাসভূমি শ্ৰীব্যাসপীঠ বিখ্যাত বদরিকাশ্রম শ্ৰীমন্মধ্বচার্য্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। এই বদরিকাশ্রমে শীত-বর্ষ-গ্রীষ্ম-সহিষ্ণু নারায়ণের পাদপদ্মাসক্ত, শ্রুতিগাননিরত ঋষিগণ বাস করেন। এখানে নারায়ণে দৃঢ়চিত্ত বিশুদ্ধ-হৃদয় পরমহংসগণ নারায়ণের সেবানন্দসাগরে বিচরণ করিয়া থাকেন। বৈকুণ্ঠপ্রিয়দর্শন আনন্দতীর্থের দর্শন লাভ করিয়া ঋষিগণ বিস্মিত হইলেন। কেহ কেহ বলিতে লাগিলেন,—“বোধ হয় স্থচতুর ব্রহ্মা কিংবা স্বয়ং পবনদেব শ্ৰীব্যাসদেবের দর্শনের জন্ত এখানে সন্ন্যাসিদেশ ধারণ করিয়া আসিয়াছেন।” আনন্দতীর্থ তথায় বদরীবৃক্ষরাজিকে দেখিতে পাইলেন । অনন্তদেবই ভগবান শ্রব্যাসের সেবার জন্য যেন বহু শাখা-বিশিষ্ট বৃক্ষরূপে বিরাজ করিতেছেন। সেই বৃক্ষ ইন্দ্র-বজ্র-নিবারক হরিপ্রেষ্ঠ গরুড়ের দ্যায় শোভা পাইতেছিল। বৃক্ষবর মহাফলপ্রদ বৃহৎ-শাখা-বিশিষ্ট বেদ-তরুর ন্যায় শোভিত ছিল । বদরীবৃক্ষের বিশাল বেদীর মধ্যে মুনি-মণ্ডল-মণ্ডিত শ্ৰীব্যাসদেব উপবিষ্ট আছেন। শ্ৰীব্যাসের মনঃসমুদ্র যখন সজ্জনগণের | >>8 | বদরাবৃক্ষের বেদীতে সপার্ষদ স্ত্রব্যাস ।