পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ অধ্যায় গুরু ও শিষ্য প্রকৃত শিষ্যের আদর্শ-প্রকটকারী শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য জগদগুরু ভগবান শ্ৰীব্যাসদেবের শ্রীচরণাস্তিকে উপনীত হইলেন। কি ভাবে প্রকৃত শিষ্য সদগুরুর পাদপদ্মের শুশ্ৰষা করেন এবং শ্ৰীগুরুপাদপদ্ম কি ভাবে শিয্যকে আমায়ায় কৃপা ও শক্তিসঞ্চার করেন, সেই আদর্শ বদরিকাশ্ৰমের বিজন-বনে প্রকটিত হইল । দ্বাপরযুগে যেরূপ ভগবান বাস্থদেব নিজ-দ্বারকাপুরীকে পরমার্থ অর্থাং অপ্রাকৃত ধন-রত্নাদি দ্বারা পরিপূর্ণ করিয়াছিলেন, সেইরূপ নিজ-নিবাসস্থান-স্বরূপ পূর্ণপ্রজ্ঞের হৃদয় যদিও পরমাথ জ্ঞানে পূৰ্ব্ব হইতেই পরিপূর্ণ ছিল, তথাপি শ্ৰব্যাসদেব যথার্থ তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা পরিপূর্ণ করিলেন। সদগুরু বা আচাৰ্য্য নিজ স্নিগ্ধ শিষ্যকেও আচাৰ্য্যত্বে প্রতিষ্ঠিত করেন । তিনি তাহাতে কোনপ্রকার কৃপণতা করেন না । তত্ত্ববিৎই আচাৰ্য্য হইতে পারেন । সেই তত্ত্বই অদ্বয়জ্ঞান বাসুদেব । পূর্ণপ্রজ্ঞ বেদব্যাসের নিকট হইতে অল্পকাল মধ্যেই ইতিহাস, পুরাণ, পঞ্চরাত্র, ব্রহ্মস্থত্র ও শ্রুতি-সমূহের সিদ্ধান্ত অবগত হইলেন। ব্যাসদেবের অনুগমনে শ্রীপূর্ণপ্রজ্ঞ বদরিকাশ্রমের অস্তগত আশ্রমান্তরে গমন করিয়৷ শ্ৰীনারায়ণকে দর্শন ও বন্দনাদি করিলেন । শ্রীনারায়ণ একান্তে পূর্ণপ্রজ্ঞের হৃদয়ে এরূপ প্রেরণা প্রদান করিয়া বলিয়াছিলেন,—“আনন্দতীথ একটি দুষ্কর কার্য্য তোমাকে সম্পাদন করিতে হইবে ; তুমি ব্যতীত এই { من لا لا ] শ্ৰীব্যাসদেব-কর্তৃক শক্তিসঞ্চণর ব্ৰহ্মপুত্র প্রণয়নার্থ আজ্ঞা-লাভ