পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায়—ভাষ্য-প্রণয়ন শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের ন্যায় জগদগুরু আচাৰ্য্যগণ এক লীলায় “পাচ সাত লীলা” করিয়া থাকেন। র্তাহারা গুরু-পরম্পৰ্য্যের নিত্যত্ব-সংস্থাপন-কল্পে লোকোত্তর আচাৰ্য্যগণ শিষ্যোপম ব্যক্তিকেও গুরুর সম্মান প্রদান করিয়া কর্তৃক শিষ্যস্থানীয়- তাহাদের মঙ্গল বিধান করেন। শ্ৰীমন্মহাপ্রভু ব্ৰহ্মাগণকে গুরুরূপে নন্দ ভারতীকে গুরুর সম্মান প্রদর্শন করিয়াও বরপ-লীলার তাহার মূগচৰ্ম্ম-ব্যবহার পরিত্যাগ করাইয়াছিলেন । তাৎপর্য্য বর্তমান যুগের শুদ্ধভক্তিস্রোতঃ পুনঃপ্রবাহের মূল পুরুষ তাহার শিস্য-নামের অযোগ্য স্মাৰ্ত্ত লৌকিক গোস্বামি-নামধারী কোন ব্যক্তিকে গুরুর সম্মান প্রদর্শন করিয়াও তাহার মঙ্গলের চেষ্টা করিয়াছিলেন। বৈষ্ণবসাৰ্ব্বভৌম শ্ৰীল জগন্নাথ, শ্ৰীল গৌরকিশোর প্রভু প্রমুখ নিত্যসিদ্ধ ভগবৎপার্ষদগণের চরিত্রেও অনর্থগ্রস্ত জীবকে পাঞ্চরাত্রিক গুরুর সম্মান প্রদর্শন-পূর্বক তাহাদের মঙ্গল-বিধান করিবার আদর্শ দেখিতে পাওয়া গিয়াছে । শ্ৰীমন্মহাপ্রভু যেরূপ ব্ৰহ্মানন্দ ভারতীর মায়াবাদ-সিদ্ধান্ত-নিরাস, ঠাকুর ভক্তিবিনোদ যেরূপ কোন লৌকিক গোস্বামীর কৰ্ম্মজড়-সিদ্ধান্ত a.nasagar নিরাস করিয়া তাহাদিগের নিকট স্বসিদ্ধান্ত কীৰ্ত্তন জুল ভক্তিবিনোদের করিয়াছিলেন, সেইরূপ ব্রহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায়ের আদর্শের দ্বার পূৰ্ব্ব গুরুদেব শ্ৰীমন্মধবাচার্যাও অচ্যুতপ্রেক্ষের শ্ৰীমধবাচরণ- মায়াবাদ-সিদ্ধান্ত নিরাস করিয়া নিজ-কৃত ভাষ্যের তাৎপর্ষ্য- ভক্তিসিদ্ধান্ত বর্ণন করিয়াছিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ স্বযুক্তি • ব্যাখ্যা পূর্ণ নানা বাক্যের দ্বারা আচুতিপ্রেক্ষকে পুনঃ পুনঃ র্তাহার রচিত ভাষ্যের সিদ্ধান্ত বুঝাইবার চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু অচ্যুতপ্রেক্ষ মায়াবাদ-সিদ্ধান্তেই সুদৃঢ়ভাবে অবস্থান করিতেছেন দেখিয়া [ ১২৩ ] Q