পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব সদবৈদ্যের ন্যায় স্বসিদ্ধান্তে অচ্যুতপ্রেক্ষের হৃদগত অরুচির মূল কারণ বিশেষভাবে চিন্তা করিতে লাগিলেন । শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য মায়াবাদ-সিদ্ধান্তসমূহ স্থদৃঢ় যুক্তিরুপণের দ্বারা ছেদন করিলেন এবং আচুতিপ্রেক্ষের হৃদয় হইতে কলি-প্রভাবজাত মায়াবাদ-সিদ্ধান্তসমূহ বিদূরিত করিলেন। বস্তুতঃ শ্ৰীমন্মধবাচায্যই হইলেন—গুরুদেব, আর অচ্যুতপ্রেক্ষ হইলেন —শিষ্য ; কারণ, যিনি ভক্তিসিদ্ধান্ত শিক্ষা দেন, তিনিই তাচাৰ্য্য ও গুরুদেব । মধ্ব-সম্প্রদায়ের প্রাচীন মনীষিগণ বলিয়াছেন যে, পিপাসাতুর ব্যক্তি তাৎকালিক স্থলভ লবণাক্ত জল পান করিয়া পরে যেরূপ পুনঃ পুনঃ সুমিষ্ট জলপানে আনন্দ লাভ করে, সেইরূপ অচ্যুতপ্রেক্ষও মোহবশতঃ প্রথমে মায়াবাদীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন ; কারণ, তৎকালে উহাই স্থলভ ছিল, আর শুদ্ধভক্তি-সিদ্ধান্তে দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইয়াছিল। পরে যখন লোক-মঙ্গলের জন্ত শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য তাহার ভাষ্য-সমূহ প্রচার করিলেন, তখন অচ্যতপ্রেক্ষ সেই ভায্য-ভাগীরথীর সিদ্ধান্তামৃত-পানে নিত্যজীবন লাভ করিলেন । আচুতিপ্রেক্ষ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সিদ্ধান্তে এরূপ অভিনিবিষ্ট হইয়ছিলেন যে, তিনি প্রত্যহ ব্ৰহ্মস্থত্রভাষ্য পাঠ সমাপ্ত না করিয়া ভগবৎপ্রসাদ স্বীকার করিতেন না । কোন সময় আচুতিপ্রেক্ষাচার্য্যের কলামাত্র দ্বাদশী-তিথি অবশিষ্ট থাকায় শ্ৰীমন্মধবরুত নিত্য এমনভায় সূত্রভাষা-পাঠ ব্যতীতই তিথি-সম্মানার্থ প্রসাদ সেবন পারায়ণ করিতে বাধ্য হইতে হইবে বলিয়া আচুতিপ্রেক্ষাচার্য্য অত্যন্ত ব্যথিত হন ; কারণ, বিস্তৃত স্বত্রভাযু-পাঠ ঐ অল্প সময়ে সমাপ্ত করা অসম্ভব। এই কথা জানিতে পারিয়া শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য ব্রহ্মস্থত্রের অতি সংক্ষিপ্ত ভাৰ্য অণুভাষ্যম্’ নামে রচনা করিয়া অচ্যতপ্রেক্ষাচার্য্যকে it. [ ১২৪ ]