পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব অনন্ত অর্থ প্রকাশ করিয়াছেন। আপনি সুত্রভাষ্য, উপনিষদভাষ্য, গীত-তাৎপৰ্য্য, মহাভারত-তাৎপৰ্য্য, ভাগবত-তাৎপৰ্য্য, তন্ত্রসার, কথালক্ষণ ও প্রমাণ-লক্ষণাদি গ্রন্থের দ্বারা সৰ্ব্বলোকে পূজিত হইয়াছেন। পাদদি প্রকরণ বিপক্ষগণকে নাশ করিয়াছে ! যমক-ভারতে চিত্রকবিতা প্রদর্শন করিয়াছেন। আপনার বিরচিত বিবিধ সুমধুর স্তোত্রগাথাদি রত্নাকরের রত্নসমূহের দ্যায় কে গণনা করিতে পারে : পুরাকালে দেবতাগণ যেরূপ ইন্দ্রাদি বীরগণের বর্তমানত-সত্ত্বেও কাৰ্ত্তিকের জন্ম অপেক্ষা করিয়াছিলেন, সেইরূপ আপনার প্রণীত ঐ সকল গ্রন্থ বর্তমান সত্ত্বেও আমরা অপর একটি গ্রন্থ প্রার্থনা করিতেছি । ঐ সমস্ত গ্রন্থ অগাধ বলিয়া আমাদের দ্যায় মন্দবুদ্ধি ব্যক্তির পক্ষে ঐ সকল হইতে যুক্তি উদ্ধার করা অসাধ্যপ্রায় । অতএব কৃপাপূর্বক একখানি পরিস্ফুট যুক্তিপূর্ণ গ্রন্থ প্রণয়ন করুন।” ত্রিবিক্রমাচার্য্যের প্রার্থনানুসারে শ্ৰীমন্মধ্বপাদ অনুভাষ্য বা অনুব্যাখ্যান নামক একটি ভাষ্য প্রণয়ন করিলেন একদিন এই অনুভাষ্য বা অনুব্যাখ্যান রচনা করিতে করিতে মধবাচার্য্য তাহার চারিজন শিষ্যের দ্বারা এককালে অনবরত চারি অধ্যায়ের শ্রুতলিপি লেখাইলেন। কালক্রমে শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের পূর্বাশ্রমের মাতাপিতা বৈকুণ্ঠধাম প্রাপ্ত হইলেন । দৈবদুৰ্বিবপাকবশতঃ র্তাহার অনুজেরও ধন, ধান্ত ও গোসমূহ বিনষ্ট হইল । এইরূপ জাগতিক বিপদ শ্ৰীমন্মধবা আচার্য্যের মাতা- মুজের পক্ষে হরিভজনের অনুকূলই হইয়াছিল। পিতার পরলোক- তিনি শ্ৰীমধবপাদের পাদপদ্মে শরণাগত হইয়া পুনঃ গমন পুনঃ সন্ন্যাস প্রার্থনা করিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ সময় স্তরের আশ্বাস দিয়া অনুজকে নিজগৃহে প্রেরণ করিলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞের অম্বুজ গৃহে গমন করিলেও তাহার চিত্ত শান্ত হইল না। (i. I St. 1