পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তবিংশ অধ্যায় - শ্ৰীমধবাচার্য্যের সিদ্ধান্ত জগৎকে অসত্য, নিরাশ্রয় ও ঈশ্বর-রহিত ( রাজশূন্ত ) বলিয়া থাকে, জগতের বিনাশকারী সেই অস্থরগণ স্বয়ংও নাশ পাইয়া থাকে । তত্ত্বতঃ ভেদ শ্ৰীমন্মধবাচার্য (১) জীবেশ্বরে ভেদ, (২) জীবে জীবে পরস্পর ভেদ, (৩) ঈশ্বরে জড়ে ভেদ, (৪) জীবে জড়ে ভেদ ও (৫) জড়ে জড়ে পরস্পর ভেদ –এই পঞ্চভেদ স্বীকার করেন। এতদ্বিষয়ে আচাৰ্য্যপাদ স্বরচিত “মহাভাপরত-তাৎৰ্য্যনির্ণয়’গ্রন্থের ১ম অধ্যায়ে ৭০-৭১ শ্লোকে এইরূপ লিখিয়াছেন— “জীবেশয়োর্ভিদ চৈব জীবভেদঃ পরস্পরম্। জড়েশয়োর্জড়ানাং চ জড়জীবভিদ তথা ॥ পঞ্চভেদ ইমে নিত্যাঃ সৰ্ব্বাবস্থায় নিত্যশ: | মুক্তানাঞ্চ ন হীয়ন্তে তারতম্যং চ সৰ্ব্বদা ॥” (১) জীবে ও ঈশ্বরে ভেদ—স্বৰ্ষ্ট জীবের সহিত বিষ্ণুর অনাদিকাল হইতে আরম্ভ করিয়া যাবৎকাল পর্যন্ত অত্যন্ত ভেদ । এহ্মই অবিদ্যা-উপাধি-বশতঃ জীবাদিরূপে প্রতীত হন’,—ইহা দুষ্ট মত। ব্ৰহ্ম— পুরম মহৎ-পরিমাণ আর জীব-অণুপরিমাণ ; ব্রহ্ম—সৰ্ব্বদোষ-বিনিমুক্ত, আর জীব-দোষপূর্ণ ব্ৰহ্ম—অনন্তগুণ, আর জীব-পরিমিত গুণ ব্ৰহ্ম নিত্যমুক্ত, আর জীব-সংসার-বদ্ধ ;–এই উভয়ের মধ্যে পরস্পর অভেদ কোনরূপেই কল্পিত হইতে পারে না। মুক্তিতেও জীব-ঈশ্বরে নিত্য ভেদ বিরাজিত। তখনও জীব ভিন্ন রূপেই অবস্থান করিয়া বিষ্ণুর নিত্যসেবা করিয়া থাকেন । (২) জীবে-জীবে পরম্পর ভেদ–(ক) ( বদ্ধ-জীব ) সংসারে جمع۹ পঞ্চভেদ-রহস্ত [ ২১৩ ]