পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্ষ্য শ্ৰীমধব তাহা হইতে পৃথগ ভাবে অবস্থান করিতে পারে, লৌহপিণ্ডে অগ্নি প্রবিষ্ট হইলেও ষেরূপ অগ্নি ও লৌহপিণ্ড দুইটিই পৃথগ বস্তু, সময়ান্তরে লৌহপিণ্ড হইতে অগ্নি বিগত হইতে পারে, তন্দ্রপ বিষ্ণুতে ব্ৰহ্মার যে নিরুপাধিক বিম্ব আছে, নিরুপাধিক প্রতিবিম্বস্বরূপ ব্ৰহ্মা সেই স্বকীয় বিস্বরূপে ইচ্ছানুসারে প্রবেশ করেন, ইহাতে ব্ৰহ্মার আত্মবিন্ধে প্রবেশ-মাত্র হইয়া থাকে, অন্তরূপে প্রবেশ হয় না। আবার ইচ্ছানুসারে ব্রহ্ম সেই বিম্বরূপ হইতে পৃথগ ভাবেও অবস্থান করিতে পারেন । অতএব ব্ৰহ্ম-সাযুজ্য ও ঈশ্বর-সাযুজ্যে ষে একান্ত অভেদ স্বীকৃত হয়, তাহ হইতে ব্ৰহ্মার সাযুজ্য বা শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সিদ্ধাস্তামুযায়ী সাযুজ্য-মুক্তির ধারণা পৃথকৃ। অন্ত মুক্তগণের মধ্যে কেহ কেহ সামীপ্য-মোক্ষ, কেহ বা সালোক্য-মোক্ষ লাভ করেন ; কিন্তু সকলেরই ‘সারূপ মোক্ষ লাভ হয় । সারূপ্য বলিতে স্ববিম্বরূপ সমানীকারের অভিব্যক্তি। এই স্থলে রামানুজায়গণের সহিত মাধবগণের মতভেদ দৃষ্ট হয়। রামান্থজীয়গণ বলেন যে, মুক্তিতে সকলেই সারূপ্য লাভ করিয়া নিত্য চতুভুজাকার প্রাপ্ত হন ; কিন্তু মাধবগণ বলেন যে, যাহার যেটি নিত্য স্বরূপদেহ, সেই সকল স্বরূপদেহের বিভিন্ন বিস্বরূপ ভগবানেও আছে ; জীবের মুক্তিতে সেই সকল বিম্বরূপের সমানাকারের অভিব্যক্তি হয়। অতএব মুক্তগণের মধ্যে কেহ সচ্চিদাননাকার চতুৰ্ভুজ, কেহ দ্বিভূজ মহষ্য, কেহ পশু, পক্ষী, তৃণ প্রভৃতি স্বরূপ-দেহে অভিব্যক্ত হন। এইরূপ মুক্তিপ্রাপ্ত জীব-সমূহ স্বেচ্ছানুসারে স্বষ্টিকালে কেহ বৈকুণ্ঠে, কেহ শ্বেতদ্বীপে, কেহ অনন্তাসনে, কেহ স্বৰ্গলোক হইতে আরম্ভ করিয়া সত্যলোক-পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র সুখ-জ্ঞানাদিপূর্ণ ও নানাবিধ অপ্রাকৃত দিব্যজ্ঞানানন্দ অনুভব ও ভগবৎকীৰ্ত্তন-ধ্যান-সেবাপর হইয়া বিচরণ করেন। কল্পরাত্রিকালে বা স্থষ্টিবিরতি-সময়ে তাহার। সকলেই বৈকুণ্ঠলোকে [ २२४' ]