পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব কেন হইবে ? তিনিই বা কেন শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়ের শ্রীমল্লক্ষ্মীপতি তীর্থ বা শ্ৰীমন্মাধবেন্দ্রপুরীকে গুরুরূপে গ্রহণ করিবার লীলা প্রদর্শন করিবেন ? অবস্ত একথা স্বীকাৰ্য্য যে, যেখানে তত্ত্ববাদের চরম উদ্দেশ্য প্রেমভক্তির বিচার হইতে বিচূতি ঘটিয়াছে, সেখানে শ্ৰীমন্মহাপ্রভু তত্ত্ববাদকে কোনও প্রকারে স্বীকার করেন নাই। তাই তিনি শ্ৰীমন্মধবীসম্পনিক ভব" চার্য্যের অনুগত্যভিমানী তদানীন্তন তত্ত্ববাদ-গুরু রঘবর্ষাতীর্থের মতবাদধন্স এর মান্ত্রে ঐরঘুবৰ্য্যতীর্থের মতবাদকে খণ্ডন করিয়া শ্ৰীমন্মধবাa swanage. চার্য্যের শুদ্ধমত গ্রহণকারী অর্থাৎ তত্ত্ববাদের চরম gagsaanর উদেষ্ঠ উপলব্ধিকারী শ্ৰীঈশ্বরপুরীকেই গুরুরূপে তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিবার লীলা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। যদি শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়কেই শ্ৰীমন্মহাপ্রভু স্বীকার না করিবেন, তাহা হইলে লোকশিক্ষক প্রভুত্রয় যুগপৎ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সম্প্রদায় হইতেই গুরু-বরণ-লীলা প্রদর্শন করিলেন কেন ? এমন কি, সন্ন্যাস-লীলা প্রদর্শন করিবার পরও শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শ্ৰীঈশ্বরপুরীকে গুরু’ বলিয়া প্রচার করিতেন এবং শ্ৰীঈশ্বরপুরীর সম্বন্ধেই শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্য, শ্ৰীপরমানন্দপুরী প্রমুখ আচাৰ্য্যগণকে সন্মান করিতেন। তিনি। শ্ৰীঈশ্বরপুরীর শিষ্য গোবিন্দকে গুরুদেবের আদেশ-ক্ৰমে নিজ-সেবায় নিযুক্ত করিবার সময় “গুরোরাজ্ঞা হ্যবিচারণীয়া” প্রভৃতি বাক্য বলিয়াছিলেন। শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শ্ৰীঈশ্বরপুরী ও শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরীপাদের সম্বন্ধে শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্যকে, শ্ৰীপরমানন্দপুরীকে কিরূপ গুরূচিত সম্মান প্রদর্শন করিতেন, তাহা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত ও শ্রীচৈতন্যভাগবতের সারগ্রাহীপাঠকের অবিদিত নাই । [ २¢ ० ]