পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধ্ব “ভক্ত্যৈব তুষ্যতি হরিঃ প্রবণত্বমেব।” 馨 (মঃ ভাঃ তাঃ নিঃ ২৫৯ ) পূৰ্ব্বাচাৰ্য্য পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্ৰীমন্মধ্বপাদ যখন ‘ভক্তি-ব্যতীত সাধ্য-মুক্তিলাভের অন্ত উপায় নাই’—ইহা পুনঃ পুনঃশাস্ত্রবচন উদ্ধারপূর্বক প্রতিপাদন করিয়াছেন, তখন উপেয় বা সাধ্য-লাভের উপায় বা ইনকৰ্ত্তক অজানায়.সাধনৰূপে যে ভক্তিই তৎকর্তৃক স্বীকৃত হইয়াছে, "" এবিষয়ে কোন সন্দেহই থাকিতে পারে না। ভক্তির ভাবে স্বীকার অধীন অর্থাৎ ভগবৎসেবা বা শুদ্ধভগবজ-জ্ঞানামুকুল কৰ্ম্মকে শ্ৰীমধবাচার্য্য সামান্তভাবে স্বীকার করিলেও ‘ওঁ সহকারিত্বেন চ ওঁ? —এই (৩৪৩৩) স্থত্রের ভাষ্যে শাস্ত্রনিন্দ্য কৰ্ম্মের সহিত ভগবৎ সেবানুকূল কৰ্ম্মের পার্থক্য প্রদর্শন করিয়াছেন। উক্ত স্বত্রভান্যে আচাৰ্য্য লিখিয়াছেন,—“যথা রাজ্ঞঃ সহকার্য্যে মন্ত্রী তথা ঋতেইত্ৰ ক্ষিতিপঃ কাৰ্য্যমৃচ্ছেৎ । এবং জ্ঞানং কৰ্ম্ম বিনাপি । কাৰ্য্যং সহায়ভুতং ন বিচারঃ কুতশ্চিদিতি কমঠশ্রতে সহকারিত্বোক্তেশ্চ ” তাৎপৰ্য্য এই যে, যেরূপ রাজার কৰ্ম্মসচিবরূপে মন্ত্রী বৰ্ত্তমান থাকেন, কিন্তু রাজা মন্ত্রী ব্যতীতও স্বয়ং কাৰ্য্য-সম্পাদনে সমর্থ, সেইরূপ জ্ঞানও কৰ্ম্ম-ব্যতীত মোক্ষ-প্রদানে সমর্থ হইলেও কোনও কোনও স্থানে তাহার কৰ্ম্মসচিবত্ব স্বীকৃত হইয়াছে। শ্ৰীমন্মধবপাদের উপরি-উক্ত সিদ্ধান্তটি উত্তমরূপে বিচার করিলে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি কৰ্ম্মকে মুখ্যরূপে মুক্তির উপায় বা সাধন বলিয়া স্বীকার করেন নাই ; পরন্তু ভক্তিকেই সম্রাজীর আসন প্রদানপূর্বক কৰ্ম্মকে মন্ত্রী অর্থাৎ গৌণকৰ্ম্মনিৰ্ব্বাহকের আসনে স্থাপনানন্তর কৰ্ম্মের মুখ্য অভিধেয়ত্ব নিরাস করিয়া সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট করিয়াছেন । শ্ৰীমন্মহাপ্রভু বা শ্ৰীভাগবত A.", [ २७७ ] শ্ৰীমধ্বমতে ভক্তিই সম্রাজী