পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়—বাস্থদেবের বাল্য-লীলা করতে লাগিলেন। দ্বিজবর তখন নিজ-কুটীরে প্রৱেশ করিয়া নবীন শিশুর চন্দ্ৰবদন অভিনন্দন করিলেন এবং শ্ৰীহরির চরণ বন্দনা করিয়া পরম-প্রতিভা-প্রভা-বিকাশী পুত্র-রত্বের জাতকৰ্ম্মাদি-কৃত্য যথাবিধানে সম্পাদন করিলেন । দ্বিজবর মধ্যগেহ দৈব-বাণী শুনিয়াই জানিতে পারিয়াছিলেন যে, এই বালক অসুদেব অর্থাৎ প্রাণাধিপতি বায়ুর অবতার, জগতে বিশুদ্ধ জ্ঞান প্রচারের জন্ত আবিভূত হইয়াছেন। এই বালক নিশ্চয়ই বাসুদেবের চরণে নিরস্তর ভক্তিযুক্ত হইবে,—এই বিচার করিয়া পণ্ডিত মধ্যগেহ বালকের নাম ‘বাসুদেব রাখিলেন । দেবতাগণ আকাশে দুন্দুভিধবনি করিয়া মধ্যগেহের এই বিচার অনুমোদন করিয়াছিলেন । “পূৰ্ব্বালয়’ নামক এক ব্রাহ্মণ এই শিশুর দুগ্ধপানের चछ মধ্যগেহকে একটা দুগ্ধবতী কামধেনু দান করিলেন। এই ব্রাহ্মণ কিছুকাল পরেই প্রপঞ্চ-লীলা পরিত্যাগ করিয়া নিজ পুত্ররূপে পুনরায় জন্মগ্রহণ করিলেন এবং শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের নিকট হইতে পরম মুক্তিদায়ক পরমাত্মতত্ত্ববিষয়কজ্ঞান লাভ করিয়া ধন্ত হইলেন । একদিন মুজ্ঞােনা মধ্যগেহ শশধরনিন্দিত-কান্তি, প্রফুল্ললোচন পুত্র-রত্নটকে লইয়া প্ৰভু অনন্তেশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন এবং - বালককে উপহারস্বরূপে প্রদান করিয়া বলিঃে ন,— “প্রভো | এই বালক আপনার, আমি কেবল আপনার গচ্ছিত ধনের রক্ষকমাত্র, আমি যেন এই ভগবৎসেবকের সেবা করিতে পারি।” মধ্যগেহ শ্ৰীহরিকে এইরূপ প্রার্থনা জানাইয়া পুত্র এবং পরিবার-জনের সহিত নিশীথ-সমরে নিজ [ రిని ] C

  • বাস্থদেব” নামকরণ

জনৈক ব্ৰাহ্মণের গাভী-দান বাসুদেবকে অনন্তেশ্বরের নিকট উপহার প্রদান