পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব গৃহাভিমুখে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন । একে নিশীথ কাল, তার মধ্যে আবার চতুর্দিকেই মহারণ্য। মধ্যগেহের সহিত যে সকল যাত্রী অনন্তেশ্বর দর্শন করিয়া ফিরিতেছিলেন, তাহাদিগের অনন্তেশ্বর হইতে ফিরিবার ऋष भिभाझ्थल बनल "*" ***** সেই অরণ্য-মধ্যস্থ একটা পিশাচ নয়নক হঠাৎ আক্রমণ করিয়া বসিল। যাত্রীট প্রচুর রক্ত বমন মহৰ এখন করিতে আরম্ভ করিল। ইহা দেখিয়া একজন যাত্রী - বলিয়া উঠিল,—“কি আশ্চৰ্য্য ! এই প্রৌঢ় পুরুষকে পিশাচ আক্রমণ করিতে পারিল, আর এই কমনীয় মুন্দর বালকটাকে কিছুই করিল না ।” যাত্রীট যখন এইরূপ বলিতেছিল, তখনই পিশাচ সেই রক্তবমনশীল পুরুষে আবিষ্ট হইয়া বলিতে লাগিল,—“ওহে ! যাহার অমিত শক্তিতে রক্ষিত থাকায় তোমাদিগকে আমি আক্রমণ করিতে পারিতেছি না, এবং বিষ্ণুবিদ্বেষী এই ব্যক্তির উপর সেই অমিত-তেজা মহাপুরুষের শক্তি সঞ্চারিত না থাকায় আমি ইহাকে আক্রমণ করিতে পারিয়াছি, সেই অমিততেজ মহাপুরুষ শিশু হইলেও ইহাকে নিখিল জগতের অধীশ্বর বলিয়। জানিবে ।” একদিন বাসুদেব-জননী বেদবতী বালককে স্তন্ত্য-পানে পরিতৃপ্ত করাইয়া নিজ কন্যার উপর পুত্রের পর্য্যবেক্ষণ-ভার প্রদান পূৰ্ব্বক গৃহ হইতে কাৰ্য্যান্তরে অঙ্গর গমন করেন । শিশু বাসুদেব অতিশয় ক্ৰন্দন করিতে আরম্ভ করিলে র্তাহার সরল ভগিনী নানাপ্রকার প্রবোধ-বাক্যে বালককে স্নাত্বনা করিতে চেষ্টা করিলেন, কিন্তু বালকের কিছুতেই ক্ৰন্দন-নিরুক্তি হইল না । বালিকা মাতার প্রত্যাবৰ্ত্তন-পথ চাহিয়া রছিলেন ; কিন্তু এদিকে মাতাও ফিরিতেছেন না, বালকও অধিকতর অশাস্ত হইয়। I so ] শিশুর কুলখভোজন