পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব মর্ত্যে আসিয়৷ এই অত্যভূত-চরিত্র আবিষ্কার করিতেছে ? কিম্বা এ কি কোন প্রহেলিকা, স্বপ্ন আগব। সম্মোহন-বিদ্যা ? এরূপ শিশুবালকেরও কি কখনও ভগবানে এরূপ ভক্তির উদয় হয় ?” দর্শকগণ এইরূপ তর্ক-বিতর্ক করিতেছিলেন ; ওদিকে স্বৰ্গস্থ দেবতাগণ এবং ব্রাহ্মণগণ বলিতেছিলেন,—“ আহে ! এই শিশু-বালকের সভক্তি হরিনমস্কার সম্পূর্ণাঙ্গ অশ্বমেধ যজ্ঞসমূহকেও অতিক্রম করতেছে!” কেহ বা বলিতেছিলেন,—“এ বালক নিশ্চয়ই শ্ৰীহরির দূত, কৌমার-কাল হইতেই বিষ্ণুভক্তি-যাজনের শিক্ষ। জগতে বিস্তারের জন্ত ভূতলে আগমন করিয়াছে ” নিত্যসিদ্ধ আচার্য্যগণের চরিত্রের প্রথম প্রভাতেই র্তাহাদের মাধ্যাহিক প্রতিভা-গৌরব-ভাস্করের প্রোজ্জলতার স্বচনা করিয়া থাকে । বালক বামুদেব এইরূপে আত্মীয়-স্বজনগণের গৃহের সাময়িক উৎসবানন্দ পরিত্যাগ করিয়া বন-পথে প্রবেশ করিল এবং বিষ্ণুসেবানন্দে বিভোর হইয়া রজতপীঠপুরে আসিয়া পড়িল। রজতপীঠপুরে বৈষ্ণবগণের সহিত পীঠস্থ বিষ্ণুর সেবা-মহোৎসবে মগ্ন হইল । এদিকে পুত্রবৎসল ব্রাহ্মণবর পুত্রকে দেখিতে না পাইয়া ব্যাকুল চিত্তে চতুর্দিকে বালকের সন্ধান করিতে লাগিলেন । ব্রাহ্মণ ভূতলে মধ্যগেহ কৰ্ত্ত ক বালকের বালকের বিশিষ্ট পদচিহ্ন-সন্নিবেশ দেখিতে পাইয়া সন্ধান সেই পদ-চিহ্ন অনুসরণ করিতে করিতে দ্রুতপদে চলিতে লাগিলেন এবং পথিকগণের নিকট পুনঃ পুনঃ বালকের সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন। ভ্রমর যেমন বসন্তানিলের মধ্যে গা ঢালিয়া দিয়া তৃষিত-প্রাণে পদ্মের সন্ধানে ছুটিয়া বেড়ায়, রজতপীঠপুরে বাহুদেব I 89. I