পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব লাভ করিলেন, আর মধ্যগেহ বালকের অমানুষিক প্রতিভা দর্শন করিয়া পুনঃ পুনঃ বিস্মিত হইতে থাকিলেন । এক সময়ে বাসুদেবের মাতৃপক্ষীয় স্বজনগণ কোন উৎসব-ব্যাপারে বাসুদেবের মাতাকে নিমন্ত্রণ করিলেন। বেদবতী পুল্ল-বাস্থদেবকে লইয়া স্থিতবল্লী’ নামক গ্রামে স্বজনগণের উৎসবপূর্ণ ভবনে ঘৃতবল্লী গ্রামে স্বজন- *. বর্গের উৎসব-ভবনে " করিলেন । উৎসবে বহুলোক আসিয়াছিলেন । near age উৎসবোপলক্ষে পুরাণ-পাঠের ব্যবস্থা হইয়াছিল, অনেক ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতও সমাগত হইয়াছিলেন । বালক বাসুদেবের এই সময় বিবিধ গ্রন্থ-আবৃত্তিতে অসামান্ত অধিকার জন্মিয়াছিল। উৎসব-ভবনে বাসুদেব সুন্দর বাগ্মিতার সহিত মনোহর বচন-বিদ্যাসে যখন স্তোত্র এবং শ্লোকাবলী আবৃত্তি করিতে থাকিলেন, তখন এত অল্পবয়স্ক শিশুর এরূপ স্মৃতি-শক্তি, সংস্কৃত-শাস্ত্রে এত প্রগাঢ় পারঙ্গতি, সুন্দর বচনবিদ্যাস-পটুতা এবং বাগিতা-শক্তি লক্ষ্য করিয়া সকলেই বালকের অলৌকিকী প্রতিভার প্রশস্তি গান করিতে লাগিলেন । এদিকে ধৌতপটকুলসস্থত ‘শিব’ নামক একজন পুরাণ-কথক নানাপ্রকার লোক-চিত্তরঞ্জক-ছন্দে ঐ উৎসব-ভবনের বিরাট সভা-মধ্যে যখন পুরাণের কথকতা করিতেছিলেন, তখন বালক বাসুদেব সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং নামক পুরাণ পাঠকের পুরাণ-কথকের দুই চারিট বাক্য শ্রবণ করিয়াই সিদ্ধান্ত-বিরোধ নির্দেশ নিভীকভাবে শ্রোতৃবৃন্দের মধ্যে মৃদুমন্দ হাসিতে হাসিতে ধীরে ধীরে বলিলেন,—“হে কথক ! আপনি প্রতিষ্ঠা অর্জনের জন্ত কৃত্রিমভাবে লোকচিত্ত রঞ্জন করিতেছেন & ( & ) বান্ধদেব কর্তৃক ‘শিব’