পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়—বাসুদেবের উপনয়ন স্মৃতিশাস্ত্র উপনয়নের এইরূপ সংজ্ঞা প্রদান করিয়াছেন,— “গৃহোক্তকৰ্ম্মণ যেন সমীপং নীয়তে গুরোঃ । বালো বেদায় তদযোগাৎ বালন্তোপনয়ং বিদ্যুঃ ॥” যে বৈদিক গৃহস্থত্রোক্ত বিধান-সন্মত অনুষ্ঠানের দ্বারা বালককে বেদাধ্যয়নের জন্ত বেদাধ্যাপক গুরুর সমীপে লইয়া যাওয়া হয়, সেই অনুষ্ঠানকে বালকের উপনয়ন’ বলে। জ্ঞানের উন্মেষের পূৰ্ব্বে বেদাধ্যয়নকাৰ্য্যের উপযোগিতা নাই, তজ্জন্তই উপনয়নের পূৰ্ব্বে যে সকল সংস্কার আবিস্ত্যক, তাহার অনুষ্ঠান-যোগ্য কাল অভাব-পক্ষে সাত বৎসর। অধ্যাপনের জন্ত ব্রাহ্মণ-বালককে আট বৎসরের পূৰ্ব্বে আচাৰ্য্য-সমীপে লইয়। যাওয়৷ বিহিত নহে। ঐরাপ শিশুকালে বালকের মাতা-পিতার গৃহ হইতে অন্ত গুরু-গৃহে বাসের সম্ভাবনা নাই। গৃহ-বিধানানন্তর বেদধ্যয়ন-কালেই ব্রাহ্মণ শ্রেীতবিধান-গ্রহণে সমর্থ হন এবং পরিশেষে যজ্ঞ-দীক্ষায় দীক্ষিত হইবার অবকাশ লাভ করেন । যদি ষোড়শবর্ষের মধ্যে ব্রাহ্মণগণকে গুরু-গৃহে বাসের জন্য প্রেরণ-সম্ভাবনা না থাকে এবং ব্রাহ্মণ-বটুর বেদাধ্যয়নে কোন ইচ্ছা বা রুচি না থাকে, তাহা স্কইলে তিনি নিজ রচি-বলেই উপনয়ন-সংস্কার গ্রহণ পূর্বক ব্রাহ্মণ হষ্টতে অভিলাষ করিলেন না জানিতে হইবে । জড়ভরতের আখ্যান হইতেই জানা যায়, ভরত নিরবচ্ছিন্ন-সংস্কারবিশিষ্ট ব্রাহ্মণের গৃহে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও কৰ্ম্ম-সংস্কার-গ্রহণের পক্ষপাতী ছিলেন না। ক্ষত্রিয় বা বৈশু হুইবার রুচি না থাকিলেও ব্রাহ্মণবংশজাত বালক সংস্কার গ্রহণ পূৰ্ব্বক আদৌ গুরুগৃহে যাইতেই অনিচ্ছ প্রেকাশ করে |