পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধ্য এই ব লক সৰ্ব্বদাই খেলা-ধূলায় মত্ত থাকে, পাঠকালেও অন্তমনস্ক থাকে, তাহা হইলে কোন সময় সমগ্র বেদ-মন্ত্র অভ্যাস করিল ! পূৰ্ণবয়স্কের পক্ষেও এত পাঠ অভ্যাস করা সম্ভবপর নয়, তাহা হইলে এ বালক কে ? ইনি কি কোন দেবত নররূপে আমার গৃহে আসিয়াছেন ?” উপাধ্যায় এইরূপ নান ভাবনা ভাবিয়া সেইদিন হইতে বালককে আর কোনপ্রকার তিরস্কার বা শাসন করিতেন না, পরন্তু সৰ্ব্বদাই প্রীতির চক্ষে দর্শন করিতেন । একদিন বাসুদেব কয়েকজন বয়স্যের সহিত ভ্রমণ করিতে করিতে একটী বিজন-বনে আসিয়া পড়িল ; সেখানে উপস্থিত হইবার পর বাসুদেবের একটা প্রিয়-বয়স্য দুঃসহ শিরোবেদনায় অভিভূত হইল। বালকট যন্ত্রণায় চীৎকার আরম্ভ করিল, বালকগণের মধ্যে সকলেই বিশেষ চিন্তিত হইয়া পড়িল । বাসুদেব তাহার বয়স্যের কর্ণ ধারণ করিয়া কর্ণের মধ্যে এমন একটী ফুৎকার দিল যে, তাহাতেই ঐ বালকের তীব্র শিরোবেদন মুহূৰ্ত্ত-মধ্যে প্রশমিত হইয়া গেল । ফুৎকার দ্বার বয়স্তের শিরোবেদন নিবারণ একদিন বালক বাসুদেবের নিকট উপাধ্যায় সমগ্র নারায়ণীয় । উপনিষৎখান উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করিলেন। উপাধ্যায়ের পাঠ সমাপ্ত । অদ্ভুত শ্রুতিধর বাস্থদেবের হইবার পর বাসুদেব গ্রন্থ না দেমিই সমগ্র উপনিষদ ব্যাখ্য', উপনিষৎ আচার্য্যের নিকট আবৃত্তি করিল। এইরূপ গুরুদক্ষিণ আশ্চৰ্য্য-শ্রুতিধর বালকের প্রতিভা প্রত্যক্ষ করিয়৷ আচাৰ্য্য ও সতীর্থগণ সকলেই পরম বিস্মিত হইলেন। একদিন বালক রাসুদেব একাকী গুরুদেবের নিকট উপস্থিত হইয়। র্তাহার নিকট ঐতরেয়-উপনিষৎ পাঠ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন [ १२ ]