পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ১৩৯ } বামাগণই যাহার আবর্তস্বরূপ, পূর্ণলাবণ্যই যাহার সার এবং সতত বিদ্যমান প্রবল বিরহই যাহার প্রজ্বলিত বাড়বাগ্নিস্বরূপ, সেই বিষয়ৰূপ জলধি দৰ্প ও কামরূপ মকর দ্বারা সতত ক্ষোভপ্রাপ্ত হইতেছে। এই সমুদ্র পার হইবার জন্য একমাত্র তীব্র বৈরাগ্যই সেতুস্বরূপ। ২৫ । অতএব হে রাজপুত্র, তুমি জিতেন্দ্রিয় হইয়া প্ৰব্ৰজা গ্রহণ কর । স্ত্রীগণ ও সম্পদ সবই সমাগমকালেই সুখকর ৷ ২৬। তুমি নিজ কুশলের জন্য ব্রহ্মচর্ষ্য গ্রহণ কর । অসার সংসারে আগ্রহ ত্যাগ কর । ২৭ ৷ নন্দ ভগবানের এবংবিধ করুণাযুক্ত বাক্য শ্রবণ করিয়া পূর্বপ্রণয় দ্বারা আকৃষ্ট হইয়া প্রত্যুত্তর করিলেন । ২৮। ভগবন, আমার প্রব্রজ্যার উপায় আপনিই করিয়া দিবেন। কিন্তু আমি ভিক্ষুসঙ্ঘের উপকারার্থে গৃহস্থাশ্রমকেই অধিক আদর করি। ২৯ । নন্দ এই কথা বলিয়া ভগবানের বাক্য অতিক্রম করিতে অসমর্থ এবং প্রিয়ার প্রেমে আকৃষ্যমাণ হইয়া দোলাকুলচিত্ত হইয়াছিলেন। ৩০ । ভগবান পুনঃপুনঃ নন্দকে ব্রতগ্রহণে উপদেশ দিয়াছিলেন। সাধুগণ উপকার করিতে উদ্যত হইয় যোগ্যতার বিষয় চিন্ত৷ করেন না । ৩১ । অজিতেন্দ্রিয় নন্দ যখন কোন প্রকারেই প্রব্রজ ইচ্ছা করিল না, তখন ভগবানের বাক্য স্বয়ং আসিয়া নন্দের গাত্রে পতিত হইল। ৩২ ৷ নন্দ তৎক্ষণাৎ কাষায়বস্ত্রপরিধায়ী ও পত্রিপাণি হইলেন । তাহার দেহের আভা তপ্ত কাঞ্চনের ন্যায় হইল এবং মহাপুরুষের লক্ষণ প্রকাশ পাইল । ৩৩ ৷