পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীমূতবাহনাবদান যাহারা পরের প্রাণরক্ষার জন্ত নুতন সঙ্গমোৎসুক, দিব্যকাস্তি, উপভোগক্ষমা রুণীর সদৃশ রাজলক্ষ্মীকে তৃণজ্ঞানে ত্যাগ করিয়া অক্লেশে নিজদেহ দান করেন, পরমকারণিক ঈদৃশ মহাপুরুষগণকে নমস্কার করি। ১ । কাঞ্চনপুর নামক নগরে শ্ৰীমান জীমূতর্কেতু নামে এক বিদ্যাধররাজ উদ্ভূত হইয়াছিলেন। যিনি জীমূতসদৃশ আর্থিগণের তাপহারী ছিলেন। ২ ॥ যাহার কল্পদ্রুমসমুদ্ভুত নব নব সম্পদ যশোময় পুষ্পে শোভিত ও পুণ্যময় সৌরভে আমোদিত ছিল। ৩ ॥ সমুদ্র হইতে চন্দ্রের স্তায় তাহ হইতে তদীয় পুত্র জীমূতবাহন উদ্ভূত হইয়াছিলেন। জীমূতবাহন উৎকট পুণ্যের নূতন একটী রাশিসদৃশ ছিলেন ।৪ গুণবান যেরূপ বিনয়ের দ্বারা শোভিত হয় ও সম্পত্তিশালী যেরূপ দানের দ্বারা শোভিত হয় এবং সজ্জন সেন্ধপ পুণ্যকৰ্ম্ম দ্বারা শোভিত হয়, তদ্রুপ জীমূহকেতু সৰ্ব্বভূতহিতকারী পুত্র জীমূতবাহনের দ্বারা অতিশয় শোভিত হইয়াছিলেন । ৫ { বিদ্যাধররাজ জীমূতকেতু স্বীয় কল্পবৃক্ষ ও সমাজ পুত্রকে সমর্পণ করিয়া তপশ্চরণ মানসে শান্তিপাম মলয় পৰ্ব্বত আশ্রয় করিয়াছিলেন । ৬ | জামুতকেতু সপত্নীক রাজ্য ত্যাগ করিয়া তপোবনে গমন করিলে পর জীমূতবাহন মঙ্গবিভব লাভ করিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন । ৭ ৷ আমি গুরুজন সেবায় নিযুক্ত। এই বিপুল রাজ্যলক্ষ্মী আমার অধীন হইয়। সুখিনী হইল না । ইহা অন্ধের চিত্রশালা দর্শনের দ্যায় নিষ্ফলই হইয়াছে । ৮ ॥ পূৰ্ব্ব আমি পিতৃদেবের পদতলে মস্তক নত করিতাম ও তদীয় নখরশ্মিমালায় মদীয় মুকুট শোভিত হইত এবং তদীয় আজ্ঞাশ্রবণরূপ কুণ্ডলে কর্ণযুগল যেরূপ শোভিত ছিল, অধুনা চক্রবর্তী রাজা হইয়াও আমার সেরূপ শোভ হইতেছে না । ৯ ॥ জীমূতবাহন মনে মনে এইরূপ চিন্তা করিয়া কনকবর্ষ স্বকীয় কল্প বৃক্ষটা সৰ্ব্ব প্রাণীর উপকারার্থ উৎসর্গ করিলেন, ও সেই প্রভূত সাম্রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া পিতার আশ্রমে গমন করিলেন। উদারচিত্ত মহাপুরুষগণের নিকট ত্ৰৈলোক্যসার ঐশ্বৰ্য্যও তৃণবৎ প্রতীয়মান হয়। ১০ । ১১ ৷