পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २० ] এই সময়ে জীমূতকেতু পত্নী ও স্বয সমভিবাহারে বালহরিচন্দনকাননে উপবিষ্ট ছিলেন । তিনি চন্দ্রদর্শনোৎসুক উদধির ন্যায় পুত্রদর্শনের জন্য অত্যন্ত সমুৎসুক এবং শঙ্কাবশতঃ বিষগ্নহৃদয় হইয়া চিন্তাশ্রান্তের ন্যায় বলিলেন । ১৪৪-১ ৪৫ ৷৷ t অহে গিরিবরের প্রান্তভাগ দর্শনে কৌতুহলী বৎস জীমূতবাহন এখনও আসিতেছে না কেন । ১৪৬ | এই গিরি তটে এই সময় গরুড় আসিয়া থাকেন । তাঙ্গর তেজ আকাশমার্গে দিগাহ তেজের ছায় দারুণমূৰ্ত্তি ধারণ করে। ১৪৭ ৷ গরুড় এই সময়েই ভয়ে ভগ্নাঙ্গ ভুজঙ্গের গ্রাসের জন্ত লোলুপ হইয়া বুজনিৰ্ঘোষ সদৃশ শব্দ করিতে করিতে আগমন করিয়া থাকেন। ১৪৮ জীমূতকেতু এইরূপ ভয়সহকারে সংশয় করিতেছেন এমন সময়ে তাহার সম্মুখেই আকাশ হইতে রক্তাক্ত সেই চূড়ামণিটা পতিত হইল। ১৪৯ ৷ তিনি অসহনীয় দুর্ণিমন্ত সদৃশ মাংস, কেশ ও শোণি সম্বলিত সেই চূড়ামণিটা দেখিয়াত সহস মোতপ্রাপ্ত হইলেন । ১৫০ মলয়ব তা ও পতির চূড়ামণি চ ত হইয়াছে দেখিয় মোতপ্রাপ্ত হইয় শ্বশ্রীর সহিত ভূতলে পতিত হইলেন। ১৫১ ৷ ক্রমে ধীমান বিদ্যাধররাজ জীমূতকেতু সংজ্ঞ লাভ করিয়া জায়াকে আশ্বাস প্রদানপূর্বক যাকে বলিলেন। ১৫২ ৷ আমি স্বয়ং গিয়া নির্জনচার বৎসকে দেখিতেছি। যে হেতু এখন অতিশয় ঘোর গরুড়ের আগমন বেলা এজন্য নানা প্রকার সন্দেহ হইতেছে । ১৫৩ ৷ এই যে চূড়ামণিটা চ্যত হইয়া পড়িয়াছে ইহাতে কিছু স্তির করা যায় না । সম্ভবতঃ ইহা গরুড়কর্তৃক ভক্ষ্যমাণ কোন সপেরই হইবে । ১৫৪ ৷ এইরূপ অনেক সৰ্পগণের মণি উৎপাতবাতাহত তারকার দ্যায় সত্যই পড়িতে দেখা যায় । ১৫৫ ৷ বিদ্যাধররাজ এষ্ট বলিয়া মতিষী, পুত্রবধূ ও অন্যান্ত অনুচরগণ সমভিরাহারে ঐ পৰ্ব্বতের তট প্রদেশে সৰ্পগণের বধ্যশিলায় গমন করিলেন । ১৫৬ ৷৷ ইত্যবসরে পূৰ্ব্বোক্ত শঙ্খচূড় নামক নাগকুমার শোণবর্ণ বধ্যপটে আচ্ছাদিত হইয়াও সমুদ্রতটে গোকণকে প্রণাম করিয়া সেই স্থানে আগমন করিলেন । ১৫৭ ৷