পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] কিন্তু তাহাকে মৃতার ন্যায়ষ্ট বোধ হইয়াছিল। তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়া ও নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন । ১৬৭ ৷ মূৰ্ছা সখীর ন্যায় তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ গাঢ়ৰূপে আলিঙ্গন করিয়া রোধ করিয়৷ রাখিয়াছিল এজন্য তিনি মুহূৰ্ত্তকাল কিছুই বুঝিতে পারেন নাই । ১৬৮ ৷৷ ক্রমে সকলে সংজ্ঞালাভ করিয়া আৰ্ত্তস্বরে প্রলাপ করিতে লাগিলে গরুড় বৈরাগ্য ও লজ্জাবশতঃ অত্যস্ত বিষণ্ণ হইলেন । ১৬৯ ৷ জনক ও জননী তৎকালে জীবনতাগে কৃতসংকল্প হইয় ধৈর্যশবন্ধনপুৰ্ব্বক শিথিলিতগাত্র জীমূতবাহনকে বলিয়াছিলেন। ১৭০ ৷ হে পুত্ৰ তুমি পরের প্রতি এতই করুণাসম্পন্ন কিন্তু তোমার দেহে এত কঠোরত কেন । এই কঠোর তা আমাদের দুইজনেরি জীবন নাশ করিল। ১৭১ ৷ হে পুত্র অাপন্ন জনগণের রক্ষাকর রত্নস্বরূপ ত্বদীয় শরীর রক্ষা না করিয়৷ তুমি কি পুণ্য কার্যা করিলে ? ১৭২ -- জীমূতবাহন শিরঃকম্প দ্বারা এবংবাদী জনক ও জননীর বাক্য নিরীকরণ করিয়া প্রাণামপূৰ্ব্বক অস্কটস্বরে বলিয়াছিলেন। ১৭৩। তাত ! তোমার আজ্ঞাগ্রহণ ন করিয়াই আমি এই কার্য্য করিয়াছি তজ্জনা আমি অপরাধী অতএব আমার এই শেষ প্রণাম গ্রহণ করিয়া প্রসন্ন হউন। ১৭৪ ৷ এই শরীর ক্ষণস্থায়ী ও ইহার পরিণাম কি হইবে তাহা ও নিশ্চিত নহে। অতএব পরোপকারক্ট প্রাণিগণের জন্মগ্রহণ করার সার কার্য্য । ১৭৫ ৷ দেহিগণের আয়ুঃকাল বেগবান পবনের আঘাতে আন্দোলিত লতার পত্রৈকদেশস্থিত জলবিন্দুর দ্যায় চঞ্চল। অতএব এই দেহ যদি অক্ষয় অমৃতত্ব লাভের জন্ত আৰ্ত্তগণের উপকারে বদ্ধপরিকর হয় তবেই পুণ্যধামে যাইতে পারা যায় । ১৭৬ ৷ জীমূতবাহন জনক ও জননীকে এই কথা বলিয়া সম্মুখবর্তী ও অত্যন্ত অনুতাপ বশতঃ নিজছুষ্কৰ্ম্মের নিন্দাকারী গরুড়কে বৈরাগ্যসম্বলিত সৰ্ব্ব প্রাণীতে দয়। প্রকাশপূর্বক সৰ্পভক্ষণ হইতে নিবৃত্ত হইবার জন্ত স্থিরসংকল্প করিলেন । ১৭৭, ১৭৮ ৷৷ তৎপরে দীর্ঘশ্বাসবশতঃ আর কথা কহিতে পারলেন না এবং চক্ষুদ্বয় মুদ্রিত করিলেন । র্তাহার সত্ত্বগুণ প্রকাশেরও শেষ হইল। ১৭৯ ৷