পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २8 | অনন্তর প্রেমবা সুরপতি হৰ্ষ সহকারে স্বয়ং তথায় আগমন করিয়া জীমূত বাহনকে অভিষেক করিলেন। বন্দ্যমানকীর্তি জীমূতবাহন ত্ৰিদশগণ দ্বার চক্রবর্তিপদ ও মহৈশ্বৰ্য্য লাভ করিলেন । ১৯২ { ভগবান জিন পুণ্যোপদেশকালে এইরূপ নিজ জনমান্তর বৃত্তান্ত বলিয়ছিলেন । এই কথা উল্লেখ করিয়া আমার যাঙ্গ কিছু পুৰ্ণালাভ হইল তাহ সৰ্ব্ব প্রাণীর অভু্যদয়ের নিমিত্ৰ হউক । ১৯৩। ইতি ক্ষেমেন্দ্রকৃত বোধিসত্ত্বাবদানকল্লল তাগ্রন্থে তদাত্মজ সোমেন্দ্র কৃত জীমূতবাহনবিদান নামক অষ্টোত্তর শত তম পল্লবের বঙ্গানুবাদ সমাপ্ত o ; মন্তব্য | ভগবান দ্ধের প্রবর্তাি ত সদ্ধম্ম দে সনাতন আর্য ধৰ্ম্মেরই একটা স্বপ্রশস্ত নিৰ্ব্বাণ লাভোপযোগী ধৰ্ম্মমাগ মাত্র গঙ্গ এই জীমূতবাহনাবদান পাঠে বেশ জানিতে পারা যায়। ভগবান বুদ্ধত পূৰ্ব্বজন্মে জীমূতবাহনরূপে জন্মগ্রহণ করিয়৷ ছিলেন বলিয়। তিনি নিজেই বলিয়াছেন । ১৯৩ সঙ্খ্যক শ্লোকে একথা জানা যাইতেছে । বুদ্ধ যে পৌরাণিক দেবদেবীর উপাসনায় বিরোধী ছিলেন না তাহা ও এই জীমূতবাহনচরিতে সুস্পষ্ট রহিয়াছে । কারণ শেষে শঙ্করীর কুপায় সুধাসেকের দ্বার। ইহঁর পুনর্জীবন লাভ হইয়াছে এবং দেবরাজ ইন্দ্র ইহঁার পরম সাত্ত্বিক ভাব দর্শনে তুষ্ট হইয়৷ ইহঁাকে স্বহস্তে অভিষেক করেন এবং প্রচুর ধন রত্ন দান করেন । ভগবান বুদ্ধের বিবাঙ্গদি সকল সংস্কার কার্য্যই বৈদিক বিধানানুসারেই হইয়াছিল এবং তিনি নিজে সনাতন আর্যধৰ্ম্মাবলম্বীই ছিলেন । বুদ্ধ যে সকল উপদেশ লোকসমাজে প্রকাশ করিয়াছেন তাঙ্গতে সনাতন আর্যাধৰ্ম্মের কিছুমাত্র বিরোধিতা প্রকাশ করেন নাই বরং পৌরাণিক দেবদেবীর উপাসনাতে সাংসারিক বিষয়ে উপকারের কথাই বলিয়াছেন । * তিনি নিৰ্ব্বাণ লাভই পরমপুরুষাৰ্থ স্থির করিয়াছিলেন, এবং সেজন্য সকলকে চিত্তশুদ্ধির জন্য দান, প্রজ্ঞ, ক্ষম, শীল, বীর্য্য ও সমাধি প্রভৃতি পারমিত বিষয়ে উপদেশ দিয়াছেন। এই জীমূতবাহনাবদান একটা দান পারমিতার দৃষ্টান্ত। ইতি। শ্ৰীশরচ্চন্দ্র দাসগুপ্ত ।