পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৮৭

שר ] দেবরাজ এই কথা বলিলে পর যশোনিধি মান্ধাত নতানন হইয় বলিলেন, ইহা সমস্তই আপনার প্রসাদ প্রভাবে হইয়াছে। ৯৬ ৷ এইরূপ দেবগণকর্তৃক নিত্য সমাদরসহকারে পূজ্যমান রাজা মান্ধাতা ষড়িন্দ্ৰভোগকাল পর্যন্ত স্বগে বাস করিয়াছিলেন । ৯৭ ৷ দেবগণ র্তাহার পরাক্রমে বিশ্বাস স্থাপন করায় দেবরাজের জয়সমৃদ্ধি হইয়াছিল ; তাহদের কোনরূপ অপায় হয় নাই । ৯৮ ৷ প্রচণ্ড দানবগণের সংগ্রামের সময় দেবগণ শৌর্য্যসম্পন্ন মহাতরস্বরূপ রাজা মান্ধাতার ভুজচ্ছায়া আশ্রয় করিয়া বিশ্রামসুখ ভোগ করিয়াছিলেন । ৯৯ ৷ g রাজা মান্ধাত যে কালপ্রবাহে তাহার নিজ পুণ্যপণে ক্রীত অক্ষয় স্থখ ভোগ করিতেছিলেন, সেই কালপ্রবাহমধ্যে ছয়জন ইন্দ্রের পতন হইয়াছিল। ১০০ । * নিৰ্ম্মল মনই সৎকৰ্ম্মের ফলভোগের চিহ্নস্বরূপ। মন কলুষিত হইলেই পতন নিকটবৰ্ত্তী হয় । ১০১ । অনন্তর কালক্রমে রাজা মান্ধাতার মন কলুষিত হইয়াছিল। তিনি অভিমানে ও লোভে অভিভূত হইয়া ইচ্ছা করিয়াছিলেন যে এই দেবগণের সমৃদ্ধি আমারই বাহুবলে রক্ষিত হইয়াছে । আমি অৰ্দ্ধাসন গ্রহণ করিয়া আর বিড়ম্বিত হইবন । অতঃপর আমি একাকী ত্রিভুবনের রাজা হইব । অন্য কাহাকেও লক্ষ্য করিব না । আমার এই বাহুই ত্ৰিজগতের ভারগ্রহণে সমর্থ । আমি ইন্দ্রকে স্বৰ্গচু্যত করিয়া ও স্বয়ংবরার ন্যায় এই স্বর্গসাম্রাজ্যলক্ষীকে গ্রহণ করিয়া ত্রিভুবনমধ্যে একাতপত্রনি লক রাজ্য করব। ১০২-১০৫ ৷ রাজা মান্ধাত৷ এইরূপ চিন্তা করিয়া ইন্দ্রদেহে অভিলাষী হুইলে শুভ্রবর্ণ তদীয় প্রভাবশ্ৰী পযুষিত মালার স্যায় স্নানতা প্রাপ্ত হইয়াছিল । ১০৬ ৷