[ ס88 ] আমি শুনিয়াছি, মহাসমুদ্রে সাগর নামক নাগরাজ বাস করেন। র্তাহার গৃহে চিন্তিতাৰ্থপ্রদ মণি আছে। ১৯ । আমি সেই চিন্তামণি সংগ্রহের জন্য বিষম পথ লঙ্ঘন করিয়া যাইব । ধৈর্য্যশালী ও অধ্যবসায়ার পক্ষে কিছুই দুৰ্গম নহে। ২০ । যদি আমার পরোপকারার্থে এই উদ্যম সত্য হয়, তাহা হইলে আমার অভাবে তোমাদের কোনরূপ বিপদ হইবে না। ২১ । সত্ত্ববান রাজপুত্র এই কথা বলিয়া স্থিরনিশ্চয় হইয়া ধৈর্য্য অবলম্বন পূর্বক প্রস্থান করিলেন। ২২ । তিনি সপ্তাহকাল গুলফমাত্র জলবিশিষ্ট পথ অতিক্রম করিলেন। পরে সপ্তাহকাল জানুপরিমিত জলবিশিষ্ট পথ অতিক্রম করিয়া পুনরায় সপ্তাহকাল পুরুষপরিমিত জল অতিক্ৰম করিলেন। ২৩। তৎপরে অষ্টাবিংশতি দিন পুষ্করিণী-পরিমিত জলমার্গে গমন করিয়া ঘোরাকার দৃষ্টিবিষ বিষধরগণকে দেখিতে পাইলেন। ২৪ । তিনি তখন মৈত্রীযুক্ত মনের দ্বারা তাহাদিগকে বিষহীন করিয়া, ক্রর ও কোপনস্বভাব যক্ষগণ বেষ্টিত যক্ষদ্বীপে গমন করিলেন। ২৫। তথায় তিনি মৈত্রগুণ দ্বারা যক্ষগণকে ক্রোধহীন করিলেন। তখন যক্ষগণ কুমারের বিপুল উৎসাহ-দর্শনে বিস্মিত হইয়া তাহাকে বলিল,-- হে কুমার ! আপনি নিজ সত্ত্বগুণবলে ও এইরূপ সামর্থ্যবলে সমৃদ্ধিশালী নাগরাজভবনে উপস্থিত হইয়া কালক্রমে সম্যক সংবুদ্ধ সর্বজ্ঞ হইবেন । আমরা আপনার অনুযায়ী শ্রাবক হইব । ২৬-২৮ । রাজপুত্র যক্ষগণকথিত এই কথা অভিনন্দন করিয়া রাক্ষসগণবেষ্টিত ভীষণ রাক্ষসদ্বীপে গমন করিলেন । ২৯ । এখানেও তিনি রাক্ষসগণকে ক্রৱতাহীন করিয়া তাহদের নিকট পূজা প্রাপ্ত হইলেন। পরে ক্ষণকালমধ্যে রাক্ষসগণ র্তাহাকে নাগেন্দ্রসম্মুখে উপস্থিত করিল। ৩০ ।
পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
