পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8८२ ] এবং তাহার অভিপ্রেত বস্তু প্রার্থনা করিতে তাহাকে অনুরোধ করিলেন ; কিন্তু কুমার কিছুই চাহিলেন না । ৩৬ । রাজা কুমারের অত্যধিক আদর করিলেন। উচিতকারী, মনোজ্ঞচরিত, নিস্পৃহ ব্যক্তি সকলেরই প্রিয় হয়। ৩৭ ৷ কুমার সর্বদা রাজার সহিত দেখা করিয়া তাহার প্রীতির জন্য হেমকুঞ্জরের কাঞ্চনময় অঙ্গ-সকল প্রদান করিতেন। কুঞ্জরের পুনর্বার সেই সকল অঙ্গ উদ্ভূত হইত। ১৮। রাজা কুমারের সেবায় প্রীত হইয়া চিত্তপ্রসাদের বোধক মুখকান্তি ধারণ পূর্বক কুমারকে বলিলেন । ৩৯। প্রভূত সুবর্ণ উপঢৌকন দিয়া এরূপ গুরুতর সেবা আমি ইচ্ছা করি না ; কারণ, পুরবাসী প্রজাগণ রাজারই প্রতিপাল্য । ৪০ ৷ প্রজাগণ কর্তৃক প্রদত্ত কাঞ্চন দ্বারা আমার অধিক কি প্রীতি হইবে ? তোমার এই সুন্দর ও গুণযুক্ত আকৃতিই আমার সর্বাপেক্ষ প্রিয় ॥৪১ ভূষণভূল্য পুরুষ-রত্বে লোভই শোভা পায়। রাজগণের কোশাগারে কত হেমরাশি ও রত্বরাশি সঞ্চিত রহিয়াছে । ৪২ ৷ তোমার অভিলষিত কি বস্তু তোমাকে দিব, বল । তোমাকে সমগ্র কোশাগারের ধন প্রদান করিলেও তাহাতে আমার অনুতাপ হইবে না । ৪৩ ৷ রাজগণের দৃকপাতমাত্রে যদি প্রচুর ধন না পাওয়া যায়, তাহ হইলে নিরর্থক রাজসেবা দ্বারা কি ফল হইবে ? ৪৪ ৷ রাজা এই কথা বলিলে কুমার হস্তক বদ্ধাঞ্জলি হইয়া রাজাকে বলিলেন,—হে রাজন | রাজা ভিন্ন অন্য কে দান করিতে পারে ? ৪৫। আপনি প্রার্থিত না হইয়াও বিবুধগণকে বহু রত্ন প্রদান করেন। এরূপ রত্নদান দ্বারা আপনি রত্নাকর সমুদ্রের বিখ্যাত যশঃ বিলুপ্ত করিয়াছেন । ৪৬ ৷