পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७२8 ] অতঃপর ব্যাধাপেক্ষাও লুব্ধবুদ্ধি কুটিলক রাজা বহু অর্থ প্রদান করিবেন শুনিয়া তথায় আসিয়া রাজাকে বলিয়াছিল । ২৯ । হে দেব ! আপনি প্রসন্ন হউন। আমি সেই মৃগটকে দেখাইব । আমি বনমধ্যে সেই সুবর্ণমৃগটকে দেখিয়াছি । ৩০ । রাজা এই কথা শুনিয়া হর্মে উৎফুল্ললোচন হইয়াছিলেন এবং বলিয়াছিলেন যে, ভদ্র ! কোথায় সেই মৃগ আছে, দেখাও । ৩১ । রাজা সেই মৃগপথপ্রদর্শক কুটিলককে অগ্রে করিয়া সসৈন্তে নিজ স্বচ্ছ ছত্ররূপ চন্দ্রদ্বারা শোভিত পর্বরতের ন্যায় যাত্রা করিয়াছিলেন। ৩২ ৷ অনন্তর তরুশিখরস্থিত সেই দীর্ঘদৃষ্টিনামক কাক দেখিতে পাইল যে, হস্তী ও অশ্বসমূহের পাদোখিত রেণুদ্বারা বনস্থল আচ্ছন্ন হইয়াছে । ৩৩ ৷ তখন কাক মৃগযুথপতির নিকট আসিয়া বলিল যে, পূর্বে আমি হিতকথা বলিয়াছিলাম, তুমি তাহা শুন নাই এবং সেরূপ কর নাই। সেই লোকটাই ধনুৰ্দ্ধারী পুরুষগণের সহিত আসিতেছে। আমি নিষেধ করিয়াছিলাম, তথাপি তোমার সংহার না করিয়া এ পরিতৃপ্ত হইতেছে না । ৩৪, ৩৫ ৷ এখন কোথায় যাইব । এই ভয়ের সময় কি বা করিব । কিরূপ হিতকার্য্যের অনুবৰ্ত্তন করিব অথবা একসঙ্গে দুজনেই মরিব । ৩৬ । কৃতঘ্ন, ক্র রচরিত্র ও স্বদলনাশক এই ক্ষুদ্রাশয় জনরূপ বিষবৃক্ষকে তুমি আত্মনাশের জন্য রক্ষা করিয়াছ । ৩৭। এই লোক নিজ জীবনদাতারও প্রাণবিনাশ করিয়া পরিতৃপ্ত হয় না। কৃতঘ্ন বাড়বাগ্নি প্রাণিগণ সহ নিজ আশ্রয়ভূত সমুদ্রকে গ্রাস করে । ৩৮ |