পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SyS, 6दाश्श्ले द्धि । নাম খাতের উপর সাক্ষীস্বরূপ স্বাক্ষরিত হয় । অনেকস্থলে লেখক ও স্বাক্ষীর ব্যবসাই খাত লেখা, সাক্ষর করা ও কোর্টে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য প্ৰদান করা—ইহাদের সাক্ষ্যের কত মূল্য তাহা অনায়াসেই অনুধাবন করা যাইতে পারে। খাত লিখিবার সময় রায়তের সঙ্গে সঙ্গে তাহার একজন জামীন উপস্থিত থাকে, ও কখনো বা তাহার বৃদ্ধ মাতা কিম্বা স্ত্রীকে সাহুিকার তাহার ঋণপাশে বদ্ধ না করিয়া ক্ষান্ত থাকে না । তাহার কারণ এই, টাকা আদায়ের সুবিধা । বৃদ্ধ মাতার কি গৃহিণীর কারাবাস-ভয়ে রায়ত যেমন করিয়াই হউক ঋণ শোধ করিতে তৎপর হয়। যখন আগামী বৎসরের ফসল প্ৰস্তুত হয়, আর গবৰ্ণমেণ্টের টাকা মুখী কিম্বা তলাটীর হস্তে গচ্ছিত হয়, তখন সাহুকার রায়তের দ্বারে আসিয়া দণ্ডায়মান হয়। অনেক কাকুতি মিনতির পর রায়ত আপনার সংসার খরচের জন্য যৎকিঞ্চিৎ হাতে রাখিয়া অবশিষ্ট সুদের টাকা বলিয়া হয়ত মহাজনের হস্তে অৰ্পণ করে। দেন বৃদ্ধি হইলে মহাজন হয়ত সমস্ত ফসলই গৃহে লইয়া যায়, ও রায়ত যখন আপনার পরিবার পোষণের জন্য অল্প কিছু প্রার্থনা করে তখন সাহুকার তাহাকে বুঝাইয়া দেয়—তোর ভাবনা কি ? তোর যখন যাহা প্রয়োজন হইবে আমার দোকান হইতে সকলি পাইবি । পর বৎসর শস্য বপন করিবার বীজ চাই, রায়ত আমনি মহাজনের দ্বারে গিয়া উপস্থিত। মহাজন তাহাকে বীজ ধার দেয় ; ধারের নিয়ম এই যে, শস্য পরিপাক হইলে ঋণের দ্বিগুণ ত্ৰিগুণ শস্য সুদ