পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৩

లి cदांश्वाछे खि। লইয়া ভোগ করিতে হয়। না হয়ত জন্মভূমি ছাড়িয়া বিদেশে গিয়া তাহাকে নবজীবন আরম্ভ করিতে হয় । কখন কখন সে কতক বৎসরের জন্য হয়ত মহাজনের দাসত্ব স্বীকার করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিতে বাধ্য হয় । কমিসানারগণ একজন রায়তের কথা উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন যে একজন রায়তের সমুদয় সম্পত্তি বিক্রয় হইয়া গেলে সে নিজে ও তাহার স্ত্রী বার্ষিক খাওয়া, তামাক ও একখানা করিয়া কম্বলের বিনিময়ে ১৩ বৎসর পৰ্য্যন্ত তাহার দেশ বিদেশ দাসত্ব স্বীকার করিয়া খাত লিখিয়া GM3 কমিসনরগণ রায়তদের এইরূপ দুৰ্দশার অনেক গুলি কারণ নির্দেশ করিয়াছেন। গৃহকাৰ্য্য ও উৎসব ক্রিয়ার জন্য দিগ্বিদিক্‌ জ্ঞানশূন্য হইয়া ধার কার্জ করা—গবৰ্ণমেণ্টের খাজানা আদায়ের কড়াকড়ি নিয়ম-শস্য বিক্রয়ের উপযুক্ত বাজারের অভাব, এই সকল তাহার মধ্যে অবশ্য ধর্তব্য । রায়তদের দুরবস্থার প্রধান কারণ রায়তের অজ্ঞান ও ভীরুতা আর মহাজনের অত্যাচার । আদালত সকল এই অত্যাচারের এক অব্যৰ্থ হাতিয়ার। দুঃখের বিষয় এই যে আদালতে ন্যায় বিতরণ করিয়া কোথায় এই অত্যাচার নিবারণ করিবে, না তাহা হইতেই অন্যায় অত্যাচার আরো প্রশ্রয় পায়। আদালতের যে আইন ও কাৰ্য্যবিধি তাহাতে গরীবের উপর ধনীর জয়নিরীহ অজ্ঞানের উপর স্বার্থপর প্রখর-বুদ্ধির জয় এ ত ধরা কথা । ন্যায়ান্যায়-বিচারহীন বাদী যখন এক জন অজ্ঞান দীন হীন রায়