পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

良决史 বোম্বাই চিত্র। * য়াছেন। তঁহাদের মতে প্ৰচলিত আইন মহাজনের অত্যাচারের বিশেষ পোষকতা করে। পূর্বকার দেশীয় প্রথানুসারে মহাজন রাজার নিকট হইতে ঋণ আদায় করিবার বিশেষ কোন সাহায্য পাইত না । তখনকার ঋণ আদায়ের প্রথা স্বতন্ত্র ছিল । মহাজন ইচ্ছামত ঋণীকে কারারুদ্ধ করিয়াও খাটাইয়া লইতে পারিতেন। ঋণ আদায়ের জন্য যে সকল উপায় অবলম্বিত হইত। তাহা এই ঃ “তাগাদা” অর্থাৎ ঋণীকে টাকার জন্য বার বার তাগাদ করিয়া উত্ত্যক্ত করা “মোহস্সলী” অর্থাৎ তাগাদ করিবার জন্য ঋণীর নিকট দূত পাঠান ও ঋণীকে তাহার খোরাক যোগাইতে বাধ্য করা “ধন্না” ঋণীর দ্বারে ধন্ন দিয়া বসিয়া থাকা— “ত্ৰাগা” অর্থাৎ টাকা না পাইলে ঋণীকে আত্মহত্যা করিবার マミI ○7ぐ|エー ইত্যাদি অনেক প্রকার নিয়ম ছিল ; ইহাতে যেমন ঋণীর উপর পীড়ন তেমনি মহাজনেরও সামান্য কষ্টভোগ নহে। মহাজনের টাকার জন্য রাইয়াতের বলদ কৃষি যন্ত্র প্রভৃতি ক্রোক করিয়া তাহাকে নিঃসম্বল করিবার নিয়ম দেশীয় রাজত্ব কালে প্ৰচলিত ছিল না। ঋণের জন্য বংশ পরম্পরা ভোগ্য ভূমি সম্পত্তি বিক্রীত হইত না । মহারাষ্ট্র দেশে কখনই এরূপ ঘটিবার সম্ভাবনা ছিল না। সেখানকার রাইয়াতের অধিকাংশই