পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু কাহিনী। RVet বাসগৃহ ছিল তাহ এইক্ষণে প্রায় সকলি বিলুপ্ত হইয়াছে— মীর নসীর খার প্রাসাদ মাত্র অবশিষ্ট আছে। নিজ সহরে কতকগুলি মাটির ঘরবাড়ী,-দেখিবার মত ইমারত অট্টালিকা কিছুই নাই। দুৰ্গই ইহার মধ্যে শোভন দৃশ্য, সিন্ধু শাখা ফুলেলী। তাহার প্রাচীর পাশ দিয়া বহিয়া যাইতেছে। সহরের প্রান্তে কালহোরা ও তালপুর আমীরদের কতকগুলি সমাধি মন্দির আছে তাহ অতীব মনোহর। নদী সহর হইতে কতক মাইল দূর। সিন্ধুতীর গিধু বন্দর। পৰ্য্যন্ত দেধারী বৃক্ষশ্রেণীর মধ্য হইতে এক সুন্দর প্রশস্ত রাস্তা গিয়াছে তাহাই হাইদ্রাবাদের রাজপথ। এই সহর রেশম ও জরির কাপড়— সূক্ষ্য মিনার কাজ ও অন্য প্রকার কারুকাৰ্য্যের জন্য সুবিখ্যাত । छेखद्ध जिंकू } ভর সিন্ধু দক্ষিণ ভাগ হইতে অনেক তফাৎ । হাইদ্রাবাদের উত্তরে আর সমুদ্র বায়ু সেবন করা যায় না ; গ্রীষ্মকালে বায়ু বন্ধ হইয়া ঐ অঞ্চল উত্তাপকুণ্ডে পরিণত হয় । ৮৯ মাসব্যাপী গ্রীষ্মকাল—বৰ্ষা নাই বলিলেই হয়-কখন একটু মেঘ কিম্বা এক পসিলা বৃষ্টি এইমাত্র। শীতকাল আবার তেমনি ঠাণ্ডা । মাঝে মাঝে মরুদেশের প্রবল বালুময় ঝড় উঠিয়া প্ৰকৃতি রাজ্য তোলপাড় করিয়া তোলে। সিন্ধু নদী যেখান দিয়া গিয়াছে তাহার আশে পাশের ভূমি ফলবতী—নদী হইতে যত দূরে যাওয়া যায় ততই বালুময় মরুভূমি স্বীয় রুদ্র মূৰ্ত্তি প্ৰকাশ করিতে থাকে। V98