পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। Sb”ዓ শক্রদলের আস্ফালনে ব্যতিব্যস্ত হইয়া কি করিবে ভাবিয়া পায় না। দক্ষিণ দ্বারা দিয়া সমাধিগৃহে প্ৰবেশ করিয়া এক প্রস্তর মঞ্চের উপর সুলতান মাহমুদ, তঁাহার মহিষী ও পুত্রদের গোরপ্ৰস্তর সকল দেখা যায় । দক্ষিণ দ্বারের নিকটস্থ প্ৰস্তারের উপর কতকগুলি পারস্য লেখা আছে। তাহাতে সুলতান মাহমুদের স্বৰ্গারোহণের তারিখ পাওয়া যায়—তাহ ১০৬৭ অর্থাৎ ১৬৫৬ খৃষ্টাব্দ। দক্ষিণ দ্বারের উপরিভাগে একটা প্ৰকাণ্ড প্রস্তর খণ্ড লৌহ-শৃঙ্খলে লম্ববান। লোকের বিশ্বাস এই পাথরের গুণে গুম্বজরাজ বাজবিদ্যুতের উৎপাত হইতে সুরক্ষিত। একবার যদিও ইহার উপর বাজপাত হইয়া গিয়াছে তথাপি সে বিশ্বাস চলিয়া যায় নাই । বোল গুম্বজের পরেই “ইব্রাহিম রোজার” উল্লেখ করিতে হয়-ইহাতে ইব্রাহিম বাদাসাহের গোর ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত। বোল গুম্বজ সহরের পূর্ব প্রাচীর ঘেঁসিয়া ভিতরের দিকে,- ইব্রাহিম রোজ } ইব্রাহিমের রোজা পশ্চিম প্রাচীরের কিঞ্চিৎ বহির্ভাগে অবস্থিত। বোল গুম্বজ অলঙ্কারহীন গুরুভার প্রকাণ্ড কাণ্ড-ইব্রাহিম রোজা তাহার উলটা, লঘু ও অলঙ্কারময়। ইহার গোর, মসজিদ, উদ্যান, মিনার মিলিয়া দূর হইতে আতি মনোহর দৃশ্য আবিভূতি হয়। বিজাপুর আক্রমণ কালে মোগল সৈন্য কর্তৃক এই রোজা অধিকৃত হইয়া মালক ময়দানের গোলাঘাতে ক্ষতিগ্ৰস্ত হইয়াছিল। এইক্ষণে মেরামতে তাহার পূর্বাবয়ব ফিরিয়া আসিয়াছে।