পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। • ७२ &) সহস্ৰ অশ্বারোহী সেনা, তাহদের কোন নিয়ম নাই বন্দোজ নাই-পূর্ব সঙ্কেত অনুসারে হয়ত কোন বিজন প্রদেশে সম্মিলিত। সঙ্গে যৎকিঞ্চিৎ খোরাক-ঘোড়ার জিনের উপর এক একটি কম্বল মাত্র সম্বল, আর লুটের মাল ভরিবার জন্য এক একটি থলি। রাত্রে কোথাও বিশ্রাম করিতে হইলে ঘোড়ার লাগাম হাতে ধরিয়াই নিদ্ৰিত—দিবসে গাছতলায় কিম্বা কম্বলের আড়ালেই তাহার যথেষ্ট বিশ্রাম-রৌদ্রের উত্তাপে ভ্ৰক্ষেপ নাই, কোমরে তরবার বাধা ও অশ্বের সামনে ভূনিখাত এক একটী বল্লম। এই সব সামান্য সরঞ্জাম লইয়া মহারাষ্ট্রী বীরের যুদ্ধ যাত্ৰায় বাহির হইতেন, মোগলদের আচল দলবল কিছুতেই তাহদের সঙ্গে পারিয়া উঠিত না। অনেক বৎসর যুদ্ধ সংগ্রামের পর মোগল সম্রাট আপনার ক্যাম্পেই বন্দী হইয়া পড়িলেন, মহারাষ্ট্রী সেনাগণ মুমূর্ষু সম্রাটের চতুর্দিকে বীরদৰ্পে নৃত্য করিতে করিতে মোগলদের নাজেহাল পিশেহাল করিয়া लूलिल। বিজাপুর विचश्च } এই সব উড়” উড়” কথার পর এখন প্ৰকৃত প্ৰস্তাবের অবতারণা করা যাক ৷৷ ১৬৮৯ এ রাজকুমার আজম সোলাপুর আক্রমণ করিয়া বিজাপুর বিজয় যুদ্ধ আরম্ভ করেন। সোলাপুর হস্তগত হইলে তিনি বিজাপুরের উপর গিয়া পড়েন কিন্তু সে আক্রমণে বিলক্ষণ বাধা পড়িল । মোগলদের আগমনে বিজাপুরের লোকেরা বিবাদ কলহ দলাদলি ভুলিয়া ঐক্য বন্ধনে মিলিত হইল। বিজাপুর সৈন্যের প্রতিঘাতে মোগলের বিপদগ্ৰস্ত