পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বে গুজরাতে বৌদ্ধ রাজাদের অধিকার ছিল, খৃষ্টাব্দের দ্বাদশ শতাব্দীতে তথায় জৈন সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সে যাহা হউক, জৈনধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধধৰ্ম্মে যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ তাহার আর সন্দেহ নাই। তাহদের মধ্যে পিতাপুত্রের সম্বন্ধ না থাকুক-উভয়কে পরস্পরের জাতিভাই বলিয়া মানিতেই হইবে। বীরপূজা ও অপর কতকগুলি বিশেষ বিধানে বোধ হয়। যেন সার্বভৌমিক বৌদ্ধধৰ্ম্ম জৈন সম্প্রদায়ে পরিণত হইয়াছে। হিন্দু } বোম্বায়ের হিন্দুগণ শৈব ও বৈষ্ণব সামান্যতঃ এই দুই প্ৰধান সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইতে পারে। কোন হিন্দু শৈব কি বৈষ্ণব। তিলক দেখিলেই আক্লেশে জানিতে পারা যায়। বৈষ্ণবেরা নাসামুল হইতে কেশ পৰ্যন্ত বিষ্ণুর পদাঙ্কসূচক উৰ্দ্ধরেখা করেন। আর শৈবেরা ললাটে বামপার্শ্ব হইতে দক্ষিণ পার্শ্ব পৰ্য্যন্ত বিভূতি দিয়া তিনটি তিৰ্য্যক রেখা করিয়া থাকেন। প্রথমোক্ত তিলককে উৰ্দ্ধ পুণ্ড ও শেষোক্ত তিলককে ত্ৰিপুণ্ড, বলে । শঙ্করাচাৰ্য্য }, শৈবদের গুরু জগৎগুরু শঙ্করাচাৰ্য্য। শঙ্করাচাৰ্য্য একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহোৎসাহী ধৰ্ম্মোপদেশক ছিলেন। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে জাতিগতই হউক ব্যক্তিগতই হউক, ইতিহাস মাত্ৰই এরূপ অযত্নের বস্তু যে এমন লোকের প্ৰকৃত জীবনবৃত্তান্ত কালের সহিত বিলীন হইয়াছে। আনন্দগিরিষ্কত শঙ্কর দিগ্বিজয় প্রভৃতি কতিপয় গ্রন্থে শঙ্করাচাৰ্য্যের চরিত