পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cदांवादे नश्न। 88) প্রেসিডেন্সির এক সুবিধা এই যে ভাল ভাল স্বাস্থ্যকর স্থান হাতের কাছেই অবস্থিত, রাজধানী হইতে দু এক দিনের ব্যবধান মাত্ৰ। পুণা বোম্বাই হইতে ৫, ৬ ঘণ্টার রেলের পথ, মহাবলেশ্বর পুণা হইতে এক রাত্রের মধ্যে পৌছান যায়। কলিকাতা হইতে সিমলার পাহাড় যেমন দূর পাল্লা এখানে সেরূপ নয়। কর্তৃপুরুষদের দৃষ্টান্তে অন্যান্য লোকও পার্বত্যাশ্রমে গ্রীষ্মকাল ও পুণ্য-তীর্থে বর্ষার চতুর্মাস যাপন করেন। বম্বের নীচেই পুণ এ অঞ্চলের রাজধানী । দ্বিতীয়তঃ, বম্বের প্রকৃতির শোভা প্ৰশংসনীয়। প্ৰাকৃতিক প্রকৃতি শোভা ? সৌন্দর্ঘ্যের যে দুই প্রধান উপকরণ পাহাড় ও সমুদ্র, তাহা বোম্বায়ে বিদ্যমান। একদিকে মালাবার শৈল, অন্যদিকে সমুদ্র তীরস্থিত বন্দর-নিকার । সমুদ্রতটবর্তী যে সকল স্থান কতক বৎসর পূর্বে ময়লার খণি দূষিত দুৰ্গন্ধ বায়ুর আবাস ছিল এক্ষণে তাহা পরিস্কৃত প্ৰশস্ত সুন্দর ভ্রমণপথে পরিণত হইয়াছে। পদব্ৰজে ভ্ৰমণ ও অশ্বারোহণের সুবিধার সীমা নাই । কলিকাতার ধূলি দুৰ্গন্ধময় সঙ্কীর্ণ পথ-ঘাট ছাড়িয়া একবার এই সমুদ্রতীরের বিশুদ্ধ বায়ু সেবন কর—এ দুয়ের প্রভেদ বুঝিতে পরিবে। যদি বোম্বাই দ্বীপ ও বন্দরের নৈসর্গিক শোভা সন্দর্শন করিবার বাসনা থাকে। তবে সমুদ্রধারের রাস্ত দিয়া মালাবার শৈলে আরোহণ কর—তথাকার সর্বোচ্চ শিখর হইতে একবার চৌদিকে চাহিয়া দেখি । দেখিবে, সাগর দ্বীপ গিরি কানন, বন্দরের জাহাজশ্রেণী, নগরের গৃহাবলী মিলিত শোভন দৃশ্য তোমার সম্মুখে প্রসারিত।