পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a 8 cबांश्रे द्धि । ইয়াছে, সে অৰ্দ্ধেক ধৰ্ম্ম হারাইয়াছে, ইহা যেমন প্ৰতিজনের পক্ষে তেমনি জাতির পক্ষেও খাটে। যে ব্যক্তির কিছুই সম্পত্তি নাই, সে যেমন কৃপাপাত্র, যে জাতির সমুদয় সম্পত্তি পররাজ্যের অধীন, সে তদপেক্ষা নূ্যন নহে! ক্রীতদাস যেমন স্বাধীন জীবের অধিকার হইতে বিচুর্য্যত, পরাজিত জাতি সেইরূপ জাতীয় অধিকার হইতে বিচ্যুত। সে অধিকার কি, না আপনাদের জন্য করন্থাপন, আপনাদের জন্য আইন-বন্ধন, স্বরাজ্যের রাজকাৰ্য্য পরিচালন ; ব্ৰিটিষ ভারতবর্ষ এই সকল অধিকার হইতে বঞ্চিত। পার-রাজ্য সুখময় হইলেও স্বজাতীয় রাজার একাধিপত্যু ততোধিক প্রার্থনীয়। যদি অধীনতাই স্বীকার করিতে হয়, ত বিদেশী অপেক্ষা দেশীয় রাজার আধিপত্য স্বীকার করা বিজিত জাতির অধিক গৌরবের বিষয় । রাজ্য প্রজাতন্ত্রই হউক আর সাম্রাজ্যই হউক, তাহদের বিদেশীয় শত্রুর আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য তাহার। প্ৰজাগণ সৰ্ব্বদাই তৎপর থাকে। এই আক্রমণ প্ৰতিরোধ করিতে গিয়া, জাতীয় ভাবে উত্তেজিত হয়, এবং এইরূপ সঙ্কট-স্থলে প্ৰজাগণ ঐ উভয়বিধ রােজ্যরক্ষাতেই প্ৰাণপণে যত্নশীল হয়। বিদেশীয় রাজার অধীনতা স্বীকার করিলে যেমন জাতীয় ভাবের ও জাতীয় গৌরবের নাশ হয়, দেশীয় রাজার যাদৃচ্ছি শাসনে তেমন হয় না। যখন জাতীয় ভাব বিনষ্ট হইল, তখন সমাজগত ব্যক্তিগত জীবনে যাহা কিছু মহৎ যাহা কিছু প্ৰশংসনীয়, সকলই সমুলে শুষ্ক হয়, এবং জাতীয় ভাবের অধোগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বভাবেরও অধঃপাত হয় ।” আমার বন্ধুদ্ধয় শাসন-প্ৰণালী সম্বন্ধে যেরূপ তর্ক উত্থাপন করিয়াছেন, তদ্বিষয়ে আমি আর অধিক কিছু বলিব না। ভারতবর্ষীয় ইংরাজদের আচার ব্যবহার সমালোচনা করিতে মনস্থ করিয়াছি, এক্ষণে তাহাতেই প্ৰবৃত্ত হওয়া গেল । আংলো-ইণ্ডিয়ানের প্রকৃত ভাব যদি দেখিতে চাও, তা মফস্বলের কোন এক নামাঙ্কিত নগরে তাহাদিগকে, দর্শন কর। সেখানে হয় তা একদিকে ইউরোপীয় অথবা দেশীয় দুই এক সেনাদল প্ৰতিষ্ঠিত ও তৎসম্বন্ধে কয়েকজন সৈনিক পুরুষ অবস্থিত আছে, অপর দিকে জজ কালেক্টর প্রভৃতি সিবিলিয়ানন্দল রাজত্ব করিতে"