পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষীয় ইংরাজ । 8 দেশীয় রাজ্য উচ্ছিন্ন করিয়া এক্ষণে প্ৰজাদিগকে অরাজকতার অন্ধকূপে পুনরায় নিক্ষেপ করিতে প্ৰবৃত্ত হইতে পারি না। বহু দূরস্থ ভবিষ্যকালেও কখন যে এমন সময় আসিবে যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন ভাবে স্বরাজ্য পরিচালনে সক্ষম হইবে তাহারও কোন সম্ভাবনা দেখা যায় না। ভারতবর্ষের সহিত আমাদের বিচ্ছেদ দুই কারণে হইতে পারে, হয় ভিতর হইতে বিদ্রোহোৎপত্তি-অথবা বাহির হইতে শত্রুর আক্রমণ । ভারতের সহিত আমাদের ভাগ্য এরূপ সমিষ্ট হইয়া গিয়াছে যে ইচ্ছা করিলেও আমরা সে সম্বন্ধ ভগ্না করিতে পারি না । ইহা আমা-- দের সামান্য বিপদ নহে। দূরদর্শী রাজা এমন কোন কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করেন না যাহাতে স্বীয় রাজ্যের ভাবী ভাগ্যের উপর নিজের অধিকার একেবারে তিরো হিত হয়। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে আমরা এইরূপ কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি সন্দেহ नशे । “ভারতবর্ষের রাজত্ব সম্বন্ধেও আমাদের ঘোরতর সঙ্কট উপস্থিত হইতে পারে। ভারতবর্ষীয় গবৰ্ণমেণ্টের কথার উপর নির্ভর করিয়া কোটি কোটি মুদ্রা ধার দেওয়া হইয়াছে—পার্লমেণ্ট পৰ্য্যন্ত এই ঋণের সঙ্গে জড়িত। মনে কর, ভারত বর্ষীয় গবৰ্ণমেণ্ট কোন কারণে এই ঋণের টাকা প্ৰদানে অসমর্থ হন। তখন যদি উত্তমণগণ ব্ৰিটিষ ধনকোষের উপর দাবী করিতে প্ৰবৃত্ত হয় তা তাহা খণ্ডন করা আমাদের পক্ষে সহজ হইবে না। বলা যাইতে পারিবে যে পার্লমেণ্টের অধী নস্থ ব্ৰিটিষ রাজ্যের রাজমন্ত্রীগণ স্বয়ং এই টাকা কার্জ করিয়াছেন ও ঐ টাকা পরিশোধের জন্য রাণী নিজে কথা দিয়া দায়ী হইয়াছেন। “ভারতবর্ষ অধিকার করিয়া-শুধু অধিকার করিয়া নয়, তথায় শান্তি ও সুশৃজখলা স্থাপন করিয়া আমাদের এক লাভ এই হইয়াছে যে, সে দেশে আমাদের বাণিজ্য ব্যবসা নির্বিঘ্নে চলিবার সুবিধা হইয়াছে। পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন দেশের সহিত ইংলণ্ডের বাণিজ্য ব্যবসায় ঘটিত সম্বন্ধ-সেই সকল দেশে রাজ্যের সুব্যবস্থা শান্তি ও ধন সমৃদ্ধি স্থায়ী হইলে তাহাতে ইংলণ্ডের নিজের স্বাৰ্থ সন্দেহ নাই। কিন্তু এই স্বার্থের পুর্ণ ফল লাভের জন্য ইহা আবশ্যক যে অন্যান্য স্থানে