পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী। b忘〕 পিতৃগৃহ হইতে পতিগৃহে প্রেরিত হয় না। যে দেশে এই রীতি প্রচলিত সে দেশে বাল্যবিবাহের দোষ অনেকাংশে পরিহার হয়। কিন্তু বাঙ্গালা দেশে এ নিয়ম নাই। যেখানে বিবাহের পরেই বৌমাকে শ্বশুরালয়ে বাস করিতে হয়। সেখানে ওরূপ ব্ৰতরক্ষা সুকঠিন । বালন্দম্পতী বিবাহপাশে বদ্ধ হইয়াও অবিবাহিতের ন্যায় থাকিবে এরূপ নিয়ম জারী করা সহজ, এ নিয়ম পালন করা সহজ নহে। বর্তমান সমাজে তাহ হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। গৃহকর্তা অন্ধ অথবা দেখিয়াও দেখেন না; আর তঁহারই বা দোষ কি ? দিনের বেলায় তা নবদম্পস্বতীর কথা কহিবার অধিকার নাই-রাত্রিকালেও কি তাহারা দুই এক দণ্ড মিলিবার সুযোগ পাইবে না ? ফলে দাঁড়ায় এই, নিয়ম পালন অপেক্ষা নিয়ম উল্লঙ্ঘনই অধিক প্রচলিত হয়। More honored in the breach than in the observance অল্প বয়সে বিবাহ করিলে স্বামী স্ত্রী উভয়েরই যে শিক্ষার ব্যাঘাত হয় তাহার দৃষ্টান্ত আমাদের সমাজে রাশি রাশি পড়িয়া আছে। ‘বৌ ধরেই বই ছাড়ে।” অনেক পুরুষের এরূপ দুৰ্দশা দৃষ্টিগোচর হয়, আর স্ত্রীশিক্ষার ত কথাই নাই। আমাদের বালিকাগণ বড় জোর ১১, ১২ বৎসর। পৰ্য্যন্ত স্কুলে কি গৃহে পাঠাভ্যাস করিতে সক্ষমা-বিবাহের পর অধিকাংশ বালিকাই মাষ্টার পণ্ডিতের সংস্রব ত্যাগ করিতে বাধ্য। ইহাতে আর বিদ্যা শিক্ষা কি হইবে ? যে স্ত্রী ভাগ্য-বশতঃ শিক্ষিত স্বামীর ইন্তে পড়ে-এমন স্বামী যিনি গুরুগিরি। পৰ্য্যন্ত স্বীকার করিয়া R