পাতা:বৌদ্ধগান ও দোহা.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৷৶৹

রাগ পটমঞ্জরী

ভুসুকুপাদানাম্— কাহেরে ঘিণি মেলি অচ্ছহু কীস।
বেটিল হাক পড়অ চৌদীস॥ ধ্রু॥
অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী।
খনহ ন ছাড়অ ভুসুকু অহেরি॥ ধ্রু॥
তিন ন চ্ছুপই হরিণা পিবই ন পানী।
হরিণা হরিণীর নিলঅ ন জানী॥ ধ্রু॥
হরিণী বোলঅ সুণ হরিণা তো।
এ বণ চ্ছাড়ী হোহু ভান্তো॥ ধ্রু॥
তরংগতে হরিণার খুর ন দীসঅ।
ভুসুকু ভণই মূঢ়হিঅহি ন পইসই॥ ধ্রু॥

 কাহাকে গ্রহণ করিয়া এবং কাহাকে ত্যাগ করিয়া, আমি কিরূপ ভাবে আছি? (মৃত্যু ও মার কর্ত্তৃক) বেষ্টিত হইয়া চতুর্দ্দিকে (মার মার) হাঁক-ডাক পড়িয়াছে, (আমার চিত্তহরিণ ইহা শুনিতে পাইয়াছিল। এখন গুরুচরণরেণুপ্রভাবে সেই অবস্থা ত্যাগ করিয়া, সর্ব্বধর্ম্মের অনুপলম্ভ এবং গ্রাহ্য ও গ্রাহকের অভাববশতঃ আমি মুক্ত হইয়া অবস্থান করিতেছি।) নিজ মাংসের জন্য হরিণ যেমন সকলের বৈরী, (এই চিত্তহরিণও সেইরূপ নিজ অবিদ্যা ও মাৎসর্য্যদোষে সকলের বদ্ধবৈরী।) ভুসুকু ব্যাধ তাহাকে ক্ষণমাত্রও ছাড়িয়া দেয় নাই, (সদ্গুরুর উপদেশরূপ বাণ দ্বারা তাহাকে অনন্যভাবে প্রহার করিয়াছে।) [তাহার ফলে] এই চিত্তহরিণ (বাহ্য জগতের মৃগের ন্যায়) আহার ও জল পান করে না। [কিন্তু] (নৈরাত্মরূপিণী) হরিণীর নিবাসস্থলও সে (ইন্দ্রিয়দ্বারা) জানিতে পারিতেছে না। (বিষয়পানরূপ ভবগ্রহ হরণ করেন, এই জন্য জ্ঞানমুদ্রা নৈরাত্মার নাম হরিণী। যোগীর অভ্যাসপ্রকর্ষবশতঃ তখন) হরিণী বলিতেছেন—ওহে হরিণ, শুন। তুমি এই (শরীররূপ) বন ছাড়িয়া (মহাসুখকমলবনে গিয়া ভ্রান্তিশূন্যভাবে) ভ্রমণ কর। (হরিণীর এই বাক্যে) হরিণ এমন ত্বরিতগতিতে (মহাসুখকমলবনে চলিয়া গেল যে), তাহার আর ক্ষুরসঞ্চালন দেখা গেল না। ভুসুকু বলিতেছেন—মূঢ় ব্যক্তির হৃদয়ে এই তত্ত্ব প্রবেশ করে না।


রাগ পটমঞ্জরী

কাহ্নুপাদানাম্— আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা।
তা দেখি কাহ্নু বিমন ভইলা॥ ধ্রু॥