৷৷৹
কাহ্নু কহিঁ গই করিব নিবাস।
জো মনগোঅর সো উআস॥ ধ্রু॥
তে তিনি তে তিনি তিনি হো ভিন্না।
ভণই কাহ্নু ভব পরিচ্ছিন্না॥ ধ্রু॥
জে জে আইলা তে তে গেলা।
অবণাগবণে কাহ্নু বিমন ভইলা॥ ধ্রু॥
হেরি সে কাহ্নি নিঅড়ি জিনউর বট্টই।
ভণই কাহ্নু মো হিঅহি ন পইসই॥ ধ্রু॥
আলি (লোকজ্ঞান, স্বরবর্ণ বা চন্দ্রনাড়ী), এবং কালি (লোকভাস, ব্যঞ্জনবর্ণ বা সূর্য্যনাড়ী), (এই দুইকে একীকৃত করিয়া), তদ্দ্বারা (কৃষ্ণাচার্য্য অবধূতীর বহির্গমন)-পথ রুদ্ধ করিলেন। তাহা (অবধূতির বহির্গমনপথ রুদ্ধ) দেখিয়া (প্রকৃতিপরিশুদ্ধাবধূতিকারূপে) কৃষ্ণাচার্য্য বিমনা (পরিশুদ্ধমনা) হইলেন। (তিনি নিজেকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন)—ওহে কানু, [তুমি এখন] কোথায় গিয়া বাস করিবে? [তাৎপর্য্য—মন পরিশুদ্ধ হইলে সুখলাভার্থ স্থানান্তরগমনের প্রয়োজন হয় না]। [কিন্তু] যে (যোগী) মনোগোচর (মন ও ইন্দ্রিয়সাহায্যে জ্ঞানলাভে প্রযত্নশীল), সে (এই ধর্ম্ম হইতে) দূরে অবস্থান করে। (বাহ্যে স্বর্গ, মর্ত্ত, রসাতল, অধ্যাত্মে কায়, বাক্, চিত্ত) এই সব তাহার নিকট তিন তিন রূপে প্রতিভাত হয় এবং সে তিনও আবার পরস্পর ভিন্ন। কাহ্নু বলিতেছেন—(সে যোগীর নিকট) এই ভবসংসার পরিচ্ছিন্নরূপে প্রতিভাত হয়। (কিন্তু পরমার্থবিৎ যোগীর এই ভেদোপলব্ধি থাকে না)। যাহারা যাহারা (যে সকল ভাব) আসিল, তাহারা তাহারা চলিয়া গেল। (ইহাদের) আসা-যাওয়ায় (উৎপাদ ও ভঙ্গদর্শনে, সংবৃতিসত্যের স্বভাব পরিজ্ঞাত হইয়া) কাহ্নু বিশুদ্ধমনা হইলেন। কাহ্নু বলেন—(মন বিশুদ্ধ হওয়ায়) সেই জিনপুর কাহ্নুর নিকটেই বর্ত্তমান দেখিতেছি, কিন্তু এখনও আমার হৃদয়ে প্রবিষ্ট হইতেছে না।
৮
রাগ দেবক্রী
কম্বলাম্বরপাদানাম্— সোনে ভরিতী করুণা নাবী।
রূপা থোই নাহিক ঠাবী॥ ধ্রু॥
বাহতু কামলি গঅণ উবেসেঁ।
গেলী জাম বহু উই কইসেঁ॥ ধ্রু॥